RSS: মোদী ম্যাজিক আর হিন্দুত্বই যথেষ্ট নয়, কর্ণাটকের হার নিয়ে বিজেপিকে সতর্ক করল আরএসএস মুখপত্র
RSS: কর্ণাটকে হারের পেছনে রাজ্য বিজেপি নেতাদের মধ্য়ে বিরোধ ও লিঙ্গায়েত গোষ্ঠীর বিজেপি বিমুখতাকেই দায়ী করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। ইয়েদুরাপ্পাকে পাশে সরিয়ে রাখাই কাল হয়েছে বলে বিজেপির একাংশ দাবি ছিল। সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছে আঞ্চলিক স্তরে নেতাদের বড় ভূমিকা নিতে হবে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে মাটি কামড়ে পড়েছিল বিজেপি। মোদী থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতারা কন্নড়ভূম চষে ফেলেছিল। কিন্তু তার ফলে হয়েছে শূন্য। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। এনিয়ে এবার সরব হল আরএসএস। সংগঠনের মুখপত্র অরগানাইজার-এ সাফ লেখা হয়েছে, হিন্দুত্ব আর মোদী ম্য়াজিকে চিঁড়ে ভিজবে না। আঞ্চলিক স্তরে লড়াই আর এভাবে হবে না।
আরও পড়ুন-মাঠে ক্রিকেট বল কুড়িয়েছিল দলিত বালক, মামার আঙুল কাটল উচ্চবর্ণের যুবকরা
দেশের যে কোনও জায়গায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ নরেন্দ্র মোদী। মোদী বিনে উদ্ধার নেই এমনটাই বলে থাকে বিজেপি বিরোধীরা। এমনও বলা হয় জিতলে মোদী আর হারলে সংগঠনের ব্যর্থতা! গত ২৩ মে সংখ্যার অর্গানাইজার-এর সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, কর্ণাটক বিধানসভার ফলাফল অনেককে অবাক করেছে। কিন্তু তা আত্ঁকে ওঠার মতো কিছু নয়। কর্ণাটকের মানুষদের সামনে বিজেপি জাতীয় স্তরের ইস্যু নিয়ে হাজির হয়েছিল। অন্যদিকে, কংগ্রেস শক্ত করে আঁকড়ে ধরেছিলে লোকাল ইস্যু। পাশাপাশি রাজ্যের নেতাদের দিয়েই তারা প্রচার করেছিল। দিল্লির নেতারা সেখানে বেশি মাতামাতি করেননি।
মুখপত্রে হারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তাকে বড় করে তুলে ধরেছিল কংগ্রেস। তা মানুষ খেয়েছে। নরেন্দ্র মোদী যতদিন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তখন থেকেই তাঁকে বিজেপি নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সওয়াল করতে হয়েছে। কর্ণাটকে জয়ী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কেন প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজ করেছে তা খুঁজে দেখতে হবে। কর্ণাটকে কংগ্রেস জিতেছে ১৩৫ আসনে। জেডিএসে পেয়েছে ১৯ আসন ও ৬৬ আসন পেয়েছে বিজেপি। ২০১৮র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, জেডিএস ও বিজেপি পেয়েছিল ৮০, ১০৪ ও ৩৭ আসন। কেন এমন ফল?আইটি হাব বলে যে রাজ্য পরিচিত সেখানে জাতপাতের লড়াই যেভাবে হালে পানি পেল তা খুবই আশ্চর্যের। ভেবে দেখা প্রয়োজন।
কর্ণাটকে হারের পেছনে রাজ্য বিজেপি নেতাদের মধ্য়ে বিরোধ ও লিঙ্গায়েত গোষ্ঠীর বিজেপি বিমুখতাকেই দায়ী করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। ইয়েদুরাপ্পাকে পাশে সরিয়ে রাখাই কাল হয়েছে বলে বিজেপির একাংশ দাবি ছিল। সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছে আঞ্চলিক স্তরে নেতাদের বড় ভূমিকা নিতে হবে। পরিস্থতি বোঝার এটাই ভালো সময়। আদর্শ ও নেতৃত্বে সবথেকে বড় বিষয়। শুধুমাত্র মোদীর ভাবমূর্তি ও হিন্দুত্ব দিয়ে সবকিচু হবে না।