পঞ্চায়েতের কাজে রাজ্যের প্রসংশায় জয়রাম, সমীকরণ ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
একশ দিনের কাজে অগ্রগতির জন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ। এ রাজ্যে আগের থেকে অনেক ভাল ভাবেই গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। একশ দিনের প্রকল্প রূপায়ণে একুশ নম্বর থেকে রাজ্য উঠে এসেছে তৃতীয় স্থানে। এর সবের জন্য তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে।
একশ দিনের কাজে অগ্রগতির জন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ। এ রাজ্যে আগের থেকে অনেক ভাল ভাবেই গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। একশ দিনের প্রকল্প রূপায়ণে একুশ নম্বর থেকে রাজ্য উঠে এসেছে তৃতীয় স্থানে। এর সবের জন্য তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে।
শুধু পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই নন, রাজ্যের জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের মোকাবিলা করে স্বাভাবিক জনজীবন ফেরানোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বেড়েছে। সেখানে পরিবর্তন আনতে রাজনৈতিক সাহস দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীরও ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তিনি।
মাস দুয়েক আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে কংগ্রেসের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়ার পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে গেছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা থেকে বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রীও। কেন্দ্র কোমায় আচ্ছন্ন বলে কড়া মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন জয়রাম রমেশই কেন্দ্রীয় বরাদ্দের কথা জানিয়ে মমতাকে লেখা চিঠিতে এই মন্তব্যের জবাব দেন। এরই মধ্যে ভোল বদলে রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করার পর স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, রাজ্যে এনআরইজিএ প্রকল্পে গত বছরের এক হাজার ৮০০ কোটি কোটি টাকার তুলনায় চার হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে ১৩ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ। এবং এ সব কিছুর পর পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মুখে জয়রাম রমেশের পাল্টা প্রশংসা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০১৪-এ লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে আপাতত প্রশাসনিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে চায় কংগ্রেস। ভোটের স্বার্থে কংগ্রেসের সঙ্গে মতভেদ চান না তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফলের আশা করলেও কংগ্রেসকে ছাড়া লোকসভা ভোটে কিন্তু তেমন আশা দেখছেন না তৃণমূল নেতারা। তাই লোকসভা ভোটে ফের জোট গড়ে লড়ার যে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে দুই শিবিরই, বৃহস্পতিবারের পর তা অনেকটাই স্পষ্ট।