শেষ সুযোগ! মোরেটরিয়াম মামলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রকে ২ সপ্তাহ সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, গত শুনানিতে বিচারপতি ভূষণের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল, যাঁরা সুদ-সহ কিস্তি মেটাতে পারছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ যে না করা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: এই শেষ সুযোগ। দু'সপ্তাহের মধ্য়ে সময় নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সলা জানান। কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্য়াঙ্ককে ঋণের কিস্তি স্থগিত মামলায় এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি, বিচারপতি এমআর শাহ ভিডিয়ো কনফারেন্স শুনানিতে এ কথা জানান।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণগ্রহীতাদের সুরাহা দিতে ঋণের কিস্তি ৩ মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দেয়। পরে আরও ৩ মাস মেয়াদ বাড়ানো হয়। অর্থাত্ মোট ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ অগস্ট। ওই মেয়াদের মধ্যে কিস্তির সুদ এবং মোট ছয় মাসের সুদের উপর সুদ গুনতে হচ্ছে ঋণগ্রহীতাদের। বাড়তি সুদ গোনা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয় ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে। এ দিন ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ রিপেমেন্ট মোরেটরিয়ামের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট।
লকডাউনে কিস্তি স্থগিত করে আমজনতাকে যে সুবিধা দিতে চেয়েছিল সরকার, উল্টে আরও ঋণের বোঝা চাপল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরাও। তাঁদের অভিযোগ, বাড়তি সুদ চাপিয়ে আসলে বাঙ্কগুলিকে ফায়দা করার চেষ্টায় কেন্দ্র। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়। কয়েকটি জনস্বার্থ মামলাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুনানিতে বিচারপতি ভূষণের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল, যাঁরা সুদ-সহ কিস্তি মেটাতে পারছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ যে না করা হয়। 'ব্যাড লোন' চিহ্নিত করে অনুত্পাদক সম্পদে পরিণত না করা হয়। তবে, এ দিন কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কীভাবে ঋণগ্রহীতাদের সুরাহা দেওয়া যায়, তার একটা বিকল্প পথ পরিকল্পনা করুন। দু'সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- আনন্দপুরকাণ্ডের ধোঁয়াশা কাটাতে তত্পর পুলিস, জেরায় মুখোমুখি নির্যাতিতা-অভিষেক
তবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, এই নিয়ম চালুর সময় বলা হয়েছিল ঋণের কিস্তির সুদ এবং সুদের উপর সুদ নেওয়া হবে স্থগিত থাকার সময়ে। এই সুদ মুকুব করলে ব্যাঙ্কগুলির উপর ভীষণ চাপ তৈরি হবে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে আইনজীবী। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, ব্যাঙ্ক এবং উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কয়েক দফা ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বিকল্প পথ বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।