চাপের মুখে শিক্ষানীতির খসড়ায় বদলের ভাবনা মোদী সরকারের

এতে দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Updated By: Jun 3, 2019, 02:00 PM IST
চাপের মুখে শিক্ষানীতির খসড়ায় বদলের ভাবনা মোদী সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন: দাক্ষিণাত্যে ক্ষোভের আঁচ পেয়ে পিছু হঠল কেন্দ্রীয় সরকার। শিক্ষানীতির খসড়ায় অদলবদলের ভাবনাচিন্তা শুরু হল মোদী সরকারের তরফে। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র মারফত এই খবর পাওয়া গিয়েছে।

নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া সামনে আসে। আর তাতে দেখা যায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া পড়ুয়াদের শিখতে হবে ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষা।

আরও পড়ুন: রবার্ট বঢরাকে ছয় সপ্তাহের জন্য বিদেশযাত্রার অনুমতি আদালতের

এর পরই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি থেকে। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় দক্ষিণের রাজ্যগুলি। আর তার পরই সোমবার কেন্দ্রের তরফে এই ইস্যুতে পিছু হঠার ইঙ্গিত মিলল।

হিন্দি, ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষা পাঠ বাধ্যতামূলক হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণিতে প্রয়োজন মতো পরিবর্তন করতে পারবে ছাত্ররা। শিক্ষানীতির নতুন খসড়া এই বিষয়টিই রাখা হচ্ছে বলে খবর।

রাজনৈতিক মহলের মতে, শিক্ষানীতি পুরোপুরি পিছু হঠল না কেন্দ্র। এর আগে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল স্থানীয় ভাষার সঙ্গে। এবার তা কমিয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত করা হল।

আরও পড়ুন: দু’বার জন্ম কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর! স্বীকার করে নিলেন নিজেই

তাই এতে দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, শিক্ষানীতির বিষয়টি সামনে আসার পর থেকই হইচই হচ্ছে। সোমবার সকালেও কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়া একাধিক ট্যুইট করে কেন্দ্র করে আক্রমণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ভাষার শিক্ষা ঐচ্ছিক হওয়া উচিত। ভাষার শিক্ষা কখনও কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।

.