'টেরর অ্যালার্ট' জেনেও নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই সীমান্ত এলাকায় এসপি, পুলিসের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে NIA

ওয়েব ডেস্ক: পাঠানকোট হামলার ঘটনায় গুরদাসপুরের সশস্ত্র পুলিসের এসপি সালবিন্দর সিংয়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে NIA। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আতসকাচে রয়েছেন এসপির রাঁধুনি মদন গোপালও। এসপি ও তাঁর সঙ্গীর দাবি, ৩১ ডিসেম্বর রাতে গুরদোয়ারাতে প্রার্থনা সেরে ফিরছিলেন তাঁরা। পাঠানকোট থেকে গুরদাসপুর আসার পথে হাইওয়েতে জঙ্গিরা তাদের অপহরণ করে।
এসপির দাবি, সেনা পোশাকে থাকা জঙ্গিরা তাঁর নীল বাতি লাগানো SUV গাড়িতে চড়ে বসে। ওই গাড়িতেই অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার সময় এসপির সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক স্বর্ণকার বন্ধু ও রাঁধুনি। মারধরের পর জঙ্গিরা তাঁদের গভীর জঙ্গলে ফেলে রেখে, গাড়ি নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। আর এখানেই অঙ্ক মেলাতে পারছে না NIA। শুক্রবার সকালে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় এসপির গাড়ি। এয়ারবেসে হামলার আগে আরও একটি গাড়ি হাইজ্যাক করে জঙ্গিরা। ওই গাড়ির চালককে খুনও করে তারা।গোয়েন্দাদের প্রথম প্রশ্ন, জঙ্গিরা একজন গাড়ির চালককে খুন করল। আর খোদ পুলিস সুপারকে হাতে পেয়েও ছেড়ে দিল কেন? কেনই বা ছেড়ে দেওয়া হল তাঁর দুই সঙ্গীকে? সালবিন্দর সিংয়ের দাবি, ঘটনার সময় তিনি উর্দিতে ছিলেন না। সাধারণ নাগরিক হিসেবেই পরিচয় দিয়েছিলেন। গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, এসপি বললেন আর জঙ্গিরাও বিশ্বাস করে ছেড়ে দিল, এটা সম্ভব? সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালাতে পারে। এই মর্মে আগে থেকেই অ্যালার্ট ছিল পঞ্জাব পুলিসের কাছে। তারপরেও ভারত-পাক সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র পুলিসের একজন এসপি কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই শুধু বন্ধু ও রাঁধুনির সঙ্গে রাতে গাড়িতে আসছেন, এটা কীভাবে সম্ভব? সন্দেহ বাড়িয়েছে এসপির বয়ান বদল। কতজন জঙ্গি তাঁদের অপহরণ করেছিল, এক একবার এক এক রকম সংখ্যা বলেছেন সালবিন্দর। জঙ্গিরা মাদক পাচারকারীদের সাহায্যে ভারতে ঢুকেছিল বলে তদন্তে উঠে আসছে। পঞ্জাব করিডর মাদক পাচারের জন্য কুখ্যাত। এক্ষেত্রে কিছু নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে মাদকপাচারকারীদের আঁতাত উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।