গুজরাটে 'ফ্লপ' ন্যানো প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা রাহুলের
রাহুল গান্ধীর দাবি, ''টাটাকে ব্যক্তিগত সুবিধা পাইয়ে দিতেই গুজরাটের সানন্দে ন্যানো প্রকল্প গড়ার জায়গা করে দিয়েছে মোদী সরকার।'' তাঁর আরও অভিযোগ, ''একটি সংস্থাকে ৩৩ হাজার কোটি টাকার অর্থ সাহায্য দিলেও, রাজ্যবাসীর জন্য সেখান থেকে কোনও লাভই তুলে আনতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী। উল্টে রাজ্যের মানুষের টাকা তুলে দিয়েছেন একটি মৃত সংস্থাকে।''
নিজস্ব প্রতিবেদন : গুজরাটে টাটা মোটর্সের ন্যানো প্রকল্প নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। ন্যানো নিয়ে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার টুইট করে মোদীকে বিঁধলেন রাহুল। রবিবার তিনি টুইট করেন, ''প্রধানমন্ত্রীর সখের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প এখন মৃত। গুজরাটবাসীর ৩৩ হাজার কোটি টাকার কর ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। এর জন্য কাকে দায়ী করবেন মোদী?''
রাহুল গান্ধীর দাবি, ''টাটাকে ব্যক্তিগত সুবিধা পাইয়ে দিতেই গুজরাটের সানন্দে ন্যানো প্রকল্প গড়ার জায়গা করে দিয়েছে মোদী সরকার।'' তাঁর আরও অভিযোগ, ''একটি সংস্থাকে ৩৩ হাজার কোটি টাকার অর্থ সাহায্য দিলেও, রাজ্যবাসীর জন্য সেখান থেকে কোনও লাভই তুলে আনতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী। উল্টে রাজ্যের মানুষের টাকা তুলে দিয়েছেন একটি মৃত সংস্থাকে।''
আরও পড়ুন- আর্চবিশপের চিঠিতে বিজেপিকে কটাক্ষ, নোটিস পাঠাল গুজরাট নির্বাচন কমিশন
টুইটে গুজরাটবাসীর উদ্দেশ্যে রাহুলের প্রশ্ন, "আপনি কি ন্যানো গাড়ি ব্যবহার করেন? আপনার বাড়ির এখনও কেউ সেই সংস্থায় চাকরি পেয়েছে? আপনি কি কোনও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন এই প্রকল্প থেকে?'' রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই এবার গুজরাট জয়ের টার্গেট নিয়ে ময়দানে নেমেছেন কংগ্রেসের যুবরাজ। প্রথমে জিএসটি নিয়ে আক্রমণ। তারপর চলতি মাসের গোড়া থেকেই সেখানে ন্যানো প্রকল্প নিয়ে বিজেপিকে বিঁধে চলেছেন রাহুল গান্ধী।
২০১০ সালে আহমেদাবাদের কাছে সানন্দে গড়ে ওঠে টাটার ন্যানো প্রকল্প। জমি থেকে কাঁচা মাল, এমনকি কারখানা চালাতে টাটাকে অসংখ্য সুযোগ সুবিধা দিয়েছে গুজরাট সরকার। উদ্দেশ্য ছিল কারখানা গড়ে সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে সস্তায় গাড়ি কেনার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কিন্তু, কয়েক বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে ন্যানো প্রকল্প। রতন টাটা জানিয়ে দেন, ন্যানো গাড়ি বাজার তৈরি করতে পারেনি। ন্যানোকে গ্রহণ করতে পারেননি সাধারণ মানুষ। তবে, এখনই প্রকল্পটি বন্ধ করতে চায় না টাটা।