পুখরায়া ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কারণ জানুন
পুখরায়া ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪৫। সোমবারই সরকারি ভাবে শেষ হয়েছে উদ্ধারকাজ। এখনও বেশ কয়েকটি দেহ সনাক্ত হয়নি। প্রিয়জনের খোঁজে ছবি হাতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও মর্গে ঘুরছেন আত্মীয়রা। রবিবার ভোর রাতে উত্তরপ্রদেশে কানপুরের কাছে পুখরায়ায় লাইনচ্যুত হয় ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের চোদ্দোটি কামরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে এটাই ছিল রেল প্রতিমন্ত্রীর প্রথম প্রতিক্রিয়া।রেলপ্রতিমন্ত্রী যাই বলুন, যাত্রীরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন, বিকট আওয়াজ করছিল চাকা। সেকথা জানান ট্রেনের কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদেরও। তারপরেও কি থেমেছিল ট্রেন? না। বরং গতি বাড়িয়ে ছুটে চলে ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেস। তারপর যা হল, সকলেরই জানা। কানপুরের কাছে পুখরায়ায় লাইনচ্যুত হয় ১৪টি কামরা। মৃত্যু হয় বহু মানুষের।
ওয়েব ডেস্ক: পুখরায়া ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪৫। সোমবারই সরকারি ভাবে শেষ হয়েছে উদ্ধারকাজ। এখনও বেশ কয়েকটি দেহ সনাক্ত হয়নি। প্রিয়জনের খোঁজে ছবি হাতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও মর্গে ঘুরছেন আত্মীয়রা। রবিবার ভোর রাতে উত্তরপ্রদেশে কানপুরের কাছে পুখরায়ায় লাইনচ্যুত হয় ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের চোদ্দোটি কামরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে এটাই ছিল রেল প্রতিমন্ত্রীর প্রথম প্রতিক্রিয়া।রেলপ্রতিমন্ত্রী যাই বলুন, যাত্রীরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন, বিকট আওয়াজ করছিল চাকা। সেকথা জানান ট্রেনের কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদেরও। তারপরেও কি থেমেছিল ট্রেন? না। বরং গতি বাড়িয়ে ছুটে চলে ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেস। তারপর যা হল, সকলেরই জানা। কানপুরের কাছে পুখরায়ায় লাইনচ্যুত হয় ১৪টি কামরা। মৃত্যু হয় বহু মানুষের।
আরও পড়ুন নয়া নোটে নাকি চিপ? গুজব নাকি সত্যি জেনে নিন
ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। সোমবার লোকসভায় সেকথা জানান রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তদন্ত করবে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি, ইস্ট সার্কেল। কিন্তু ঠিক কি কারণে দুর্ঘটনা? শুধুই কি LHB রেক না থাকা? নাকি এই বিপুল প্রাণহানীর পিছনে রয়েছে কিছুটা গাফিলতি? এ প্রশ্নই উঠছে বার বার। কেন? দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যে রেল লাইনের সামান্য অংশ হয়ত ভেঙে গিয়েছিল। যার ফলে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়ে ছুটে চলা ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের ১৪টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। লাইন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন গ্যাংম্যানরা। তাহলে কী নজরদারির অভাবেই এই মৃত্যু মিছিল? রেলের চাকার পিছনের দিকের অংশ থাকে উঁচ। সেটাই লাইনের সঙ্গে কামরাকে ধরে রাখে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হয়ত পিছনের ওই উঁচু অংশটা ক্ষয়ে থাকতে পারে। ফলে লাইন থেকে চাকা পড়ে গিয়ে কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে থাকতে পারে। দুর্ঘটনার এটাও একটা কারণ হতে মনে করা হচ্ছে রেলমন্ত্রী বারবারই যাত্রী সুরক্ষা এবং নিরপত্তার কথা বলেন। অথচ লাইনে ফাটল হোক বা চাকার গণ্ডোগল। এই দুর্ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে রক্ষণাবেক্ষণ কিম্বা নজরদারি..দুটি ক্ষেত্রেই এখনও খামতি রয়েছে।
আরও পড়ুন জানেন ঠিক কবে শেষ হয়ে যাবে রিলায়েন্স জিও-র ওয়েলকাম অফার?