'কামসূত্র' বিক্রি নিষদ্ধ করার আর্জি বজরং সেনার
গেরুয়া শিবিরের নাছোড়বান্দা মনোভাবের জেরে এবার আস্তাকুঁড়ে ঠাই হতে চলেছে স্বর্ণখচিত ইতিহাসের। বাৎস্যায়ন রচিত 'কামাসূত্র' বইকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি তুলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং সেনা। এমনকি 'কামাসূত্র' বইয়ের বিক্রিও নিষিদ্ধ করার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
ওয়েব ডেস্ক: গেরুয়া শিবিরের নাছোড়বান্দা মনোভাবের জেরে এবার আস্তাকুঁড়ে ঠাই হতে চলেছে স্বর্ণখচিত ইতিহাসের। বাৎস্যায়ন রচিত 'কামাসূত্র' বইকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি তুলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং সেনা। এমনকি 'কামাসূত্র' বইয়ের বিক্রিও নিষিদ্ধ করার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বজরং সেনার নেতা জ্যোতি আগরওয়ালের দাবি, "পর্যটন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের নাকের ডগাতেই বিক্রি হচ্ছে কামসূত্রের বই। মন্দিরের ভিতরে বিক্রি হওয়া বইগুলোতে এমন এমন বিষয় রয়েছে তা বিদেশীদের চোখে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করছে।" ইউনেস্কো স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ খাজুরাহ-এর ভিতর কামসূত্র বই বিক্রি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে মনসৌরির সাব ডিভিশনাল অফিসারকে একটি স্মারকলিপিও জমা করেছেন তিনি। সেখানে 'কামসূত্র' বিক্রি নিষদ্ধ করা ছাড়াও বজরং সেনার আরও বিভিন্ন দাবির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাৎস্যায়ন রচিত 'কামাসূত্র' ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আদিম সভ্যতার একটা জীবন্ত ইতিহাস। এই বই জুড়ে রয়েছে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ-এই চারটি বিষয়ের বিশদ দর্শন। পশ্চিমী বিশ্বের কাছে এই বই কোনও যৌনতার বিষয় নয়, বরং ধর্ম, আনন্দময় জীবন চর্চার মৌলিক নিয়মাবলীর পাণ্ডুলিপি। যেখানে বিদেশীদের কাছে 'কামসূত্র' জীবন চর্চার 'ধ্রুপদী' নীতিপাঠ্য হিসেবে বিবেচ্য, সেখানে দেশের গেরুয়া শিবির মেতে রয়েছে ইতিহাস মুছে দেওয়ার নির্লজ্জ প্রচেষ্টায়।