দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সংরক্ষণে সায় সুপ্রিম কোর্টের
সংবিধান-স্বীকৃত `শিক্ষার অধিকার`কে কার্যকরী করার জন্য নজিরবিহীন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পিছিয়ে পড়া সামাজিক শ্রেণির পাশাপাশি এবার সংরক্ষণের আওতায় চলে এল আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবাগুলির শিক্ষার্থীরাও।
সংবিধান-স্বীকৃত `শিক্ষার অধিকার`কে কার্যকরী করার জন্য নজিরবিহীন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পিছিয়ে পড়া সামাজিক শ্রেণির পাশাপাশি এবার সংরক্ষণের আওতায় চলে এল আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবাগুলির শিক্ষার্থীরাও।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়া, বিচারপতি স্বতন্তর কুমার এবং বিচারপতি কে এস পি রাধাকৃষ্ণণকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ ২০০৯ সালের `শিক্ষার অধিকার আইন`কে বহাল রেখে সমস্ত সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্বশাসিত ও সংখ্যালঘু স্কুল এবং বেসরকারি স্কুলগুলিতে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক হলেও এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে সরকারের থেকে সাহায্য না-নেওয়া সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত নয়, এমন সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে যদিও ইতিমধ্যেই 'আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণিভুক্তদের' কোটায় কোনও শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে, তবে তা বাতিল করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের ২০০৯ সালের 'শিক্ষার অধিকার আইন'কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে `সোসাইটি ফর ইউনাইটেড প্রাইভেট স্কুলস, ইন্ডিপেনডেন্ট স্কুলস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া`র তরফে যে আবেদন জানান হয়েছি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন তা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ইউপিএ সরকারের প্রণয়ন করা এই আইনের বিরুদ্ধে বেসরসারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির আবেদনের শুনানির পর গত ৩ অগাস্ট রায় সংরক্ষিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত।