প্রধান বিচারপতি 'দুর্নীতিপরায়ন' মন্তব্যে সুপ্রিম কোর্টে দুঃখপ্রকাশ করেও রেহাই পেলেন না প্রশান্তভূষণ
প্রশান্তভূষণের বিরুদ্ধে আরও একটি আদালত অবমাননার মামলা চলছে। সম্প্রতি হার্লে ডেভিডসন বাইক চড়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তা নিয়েও মন্তব্য করেন প্রশান্তভূষণ
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০৯ সালে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দেশের প্রধান বিচারপতিদের দুর্নীতিগ্রস্থ বলে মন্তব্য করেছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজকর্মী প্রশান্তভূষণ। এনিয়ে মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় ওই মন্তব্যের জন্য শীর্ষ আদালতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রশান্তভূষণ। কিন্তু তা মানতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে আজ জানিয়ে দেওয়া হয়, দেখতে হবে দুর্নীতি নিয়ে প্রশান্তভূষণের মন্তব্য আদালতের অবমাননা কিনা। আগামী সোমবার এনিয়ে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন-ভিন রাজ্যে স্বামী, দুই দিন আগে মৃত্যুর আশঙ্কা করেছিল রিঙ্কু, আজ মিলল দেহ
এদিন প্রশান্তভূষণের হয়ে সওয়াল করেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী শান্তিভূষণ। আদালতে তিনি আবেদন করেন, করোনা লকডাউন শেষ হওয়ার পর এনিয়ে শুনানি হোক। কিন্তু আদালত শান্তিভূষণের ওই আবেদনে সাড়া দেয়নি।কেন প্রশান্তভূষণের বিরুদ্ধে মামলা? ২০০৯ সালে বিশিষ্ট ইংরেজি ম্যাগাজিন তেহলকা-য় একটি সাক্ষাতকার দেন প্রশান্তভূষণ। সেখানে তিনি বলেন, দেশের ১৬ প্রধান বিচারপতিদের মধ্য়ে অর্ধেকই দুর্নীতিপরায়ন।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিদের নিয়ে তাঁর করা মন্তব্য প্রসঙ্গে আগের শুনানিতে প্রশান্তভূষণ আদালতে জানিয়েছিলেন, আমার মন্তব্যে প্রধান বিচারপতিদের কেউ বা তাঁর পরিবারের কেউ যদি আহত হন তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি কোনও আর্থিক দুর্নীতির কথা বলতে চাইনি।
আরও পড়ুন-খালি চোখে ১ মিনিটে ছোলার ডালের উপর কবিগুরুর ছবি এঁকে 'বিশ্বরেকর্ড' জলপাইগুড়ির মেয়ের
প্রশান্তভূষণের বিরুদ্ধে আরও একটি আদালত অবমাননার মামালা চলছে। সম্প্রতি হার্লে ডেভিডসন বাইক চড়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তা নিয়েও মন্তব্য করেন প্রশান্তভূষণ। ওই মামলায় প্রশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাক স্বাধীনতা ও অবমাননাকর মন্তব্যের মধ্যে এক সুক্ষ্ম রেখা রয়েছে। তা অতিক্রম করেছেন প্রশান্তভূষণ।