'রাজনীতি নয়, চাই সহযোগিতা', কৃষি আইন পর্যালোচনায় কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের
কৃষি আইনের বিভিন্ন দিক, গ্রাউন্ড রিয়েলিটি খতিয়ে দেখে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে তোলপাড় দেশ। এই পরিস্থিতিতে আজ কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নয়া কৃষি আইন পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটিকে কৃষি আইনের বিভিন্ন দিক, গ্রাউন্ড রিয়েলিটি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কমিটিতে থাকবেন কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাতি, হরসিমরত মান, প্রমোদ যোশী। এখনই সুপ্রিম কোর্ট আইন বাতিলের পথে হাঁটতে চায় না। বরং আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমাধানেই জোর দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের গড়ে দেওয়া কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্র। যদিও নারাজ কৃষকরা।
রায় ঘোষণা করে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, " আইন বাতিল করে দেওয়া একটা বিকল্প হতেই পারে। কিন্তু বিনা কারণে বাতিল করা যায় না। তাই একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটি আমাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। যাঁরা যাঁরা এই কৃষি আইন নিয়ে সমস্যার সমাধানে সত্যিকারের আগ্রহী, তাঁরা সবাই কমিটির মুখোমুখি হবেন। কমিটি কাউকে শাস্তি দেবে না। আমাদের কৃষক সংগঠনের সম্মিলিত মত চাই। আইনজীবীর মাধ্যমে কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্যকে তুলে ধরুন।"
আরও পড়ুন, স্বামীজি বলেছেন, যাঁর নিজের ওপর ভরসা নেই সেই নাস্তিক: মোদী
তিনি আরও বলেন, বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্যই এই কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটি কোনও নির্দেশ দেবে না। শুধু আদালতকে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবে। শীর্ষ আদালতের এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "কমিটি গঠন একটা ভালো প্রস্তাব। সরকার এর বিরোধিতা করবে না।" যদিও, কৃষক নেতারা নারাজ। তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, কোনও কমিটির মুখোমুখি তাঁরা হতে চান না।
এপ্রসঙ্গে কৃষকদের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের বার্তা খুব স্পষ্ট, " সমস্যার আশু সমাধান চাই। এটা রাজনীতি নয়। তোমাদের সহযোগিতা করতে হবে।" কৃষকদের এই বিক্ষোভে প্রবীণ, মহিলা ও শিশুদের যুক্ত না করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য কৃষকরা রামলীলা ময়দান বা এধরনের অন্য কোনও স্থান বেছে নিক। অনুমতির জন্য দিল্লি পুলিস কমিশনারের কাছে তাঁরা দরখাস্ত করুক।