শাসক-বিরোধী সহিষ্ণুতার বার্তা মোদীর
নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে উত্সাহ ত্রিপুরায়। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

নিজস্ব প্রতিবেদন: সভামঞ্চে তিনি উঠতেই শুরু হয়ে গেল মোদী, মোদী জয়ধ্বনি। আর শুরুতেই সকলকে চমকে উপজাতিদের মাতৃভাষায় বলতে শুরু করে উপস্থিত জনতার আরও কাছের মানুষ হয়ে উঠলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ভাষণ জুড়েই ছিল উন্নয়ন। মনে করিয়ে দিলেন, এবার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে নতুন মন্ত্রিসভাকে। একইসঙ্গে বিরোধীদের সঙ্গে কাজ করার কথা বলে 'সহিষ্ণু রাজনীতি'র বার্তাও দিলেন।
ত্রিপুরায় ভোটের পর থেকেই একের পর এক হিংসার খবর আসছে। এর মধ্যে ভাঙা হয়েছে লেনিনের মূর্তি। প্রধানমন্ত্রী শান্তির আবেদন করলেও পরিস্থিতির তেমন বদল ঘটেনি। সে প্রসঙ্গে না গিয়েই মোদী বলেন, ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন সরকারের কাছে সবাই সমান। যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের উন্নয়নেও কাজ করা হবে।
শুধু তাই নয়, সিপিএম বিধায়কদেরও পাশে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ''সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। বিরোধী বন্ধুদের কাছে আমার আবেদন, আপনাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমাদের একেবারে নতুন মন্ত্রিসভা। এদের বয়সও কম। ত্রিপুরার উন্নয়নে কাজ করার উত্সাহ ও স্বপ্ন রয়েছে ওদের চোখে। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্য মিলে গেলে তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলবে ত্রিপুরা।''
আদর্শগত দিক থেকে ত্রিপুরা বিজয় কতটা চেয়েছিলেন মোদী, তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''গোটা দেশে চর্চার বিষয় ছিল উত্তর-পূর্বের ভোট। আগে এমনটা দেখা যায়নি। ভারতে স্বাধীনতার পর আমিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যে ২৫ বারের বেশি উত্তর-পূর্বে এসেছি। কথা দিচ্ছি, ত্রিপুরাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব। আরও ভাল করব। দিল্লিতে বিজেপির সরকার রয়েছে। যত সহযোগিতা দরকার, আমরা দেব।''
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় বিপ্লবের শপথ
নিজের বক্তব্য বাংলায় শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ''অবশেষে আপনারা পাল্টিয়েই দিলেন।''