ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার হেলিকপ্টার, মৃত ৮
সকাল থেকেই দেরাদুনে শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। আর এতে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। এতে ফের উত্তরাখণ্ডে দুর্যোগের সঙ্কট আরও বেড়েছে। দিনভর বৃষ্টি ও ধসে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। নতুন করে ধস নেমেছে রুদ্রপ্রয়াগ থেকে গুপ্ত কাশীর বিভিন্ন জায়গায়।
৫টা ১৯: উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত বায়ুসেনার চপার এম আই-১৭ ভি-৫ ভেঙে পড়ল। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। মৃতদের মধ্যে ৫ জন বায়ুসেনার কর্মী। বাকি ৩ জন সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গৌরিকুণ্ড যাওয়ার পথে চপারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনা স্থেলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী দল।
৫টা ৩০: পুলিস রেকর্ড অনুযায়ী উত্তরাখণ্ডের ৩৫০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
৪টে ৪৫: উত্তরাখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও মৃতদেহ আটকে থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ধ্বংসের মধ্যে বহু মানুষ জীবিত রয়েছে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তাঁরা। আটকে পড়া মানুষদের খুঁজতে প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।
বেলা ৩টে ৩২: যেসব জায়গায় উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে, সেখানে মৃতদেহ সনাক্তকরণের কাজ চলছে। মৃতদেহগুলির শেষকৃত্য সম্পন্ন করবে সেনাই। সেই জন্য ২৪ কুইন্টল কাঠ ও জ্বালানী নিয়ে রওনা হয়েছে সেনা হেলিকপ্টার। কেদারনাথে বেশি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেবভূমিতেই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
২টো ৩৯: বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল আজিজ কুরেশি। এদিন সড়ক পথে উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে যান তিনি। রাজ্যপাল বলেন, "আটকে পড়া মানুষের চাহিদা বুঝতেই আমি সড়কপথে বিপর্যস্ত এলাকায় গিয়েছিলাম।"
১টা ২০: খারাপ আবহাওয়ার জন্য বদ্রীনাথ ও হেমকুণ্ডে বন্ধ উদ্ধারকাজ।
১২টা ৫৪: সুপ্রিমকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল উত্তরাখণ্ড সরকার। এই মুহূর্তে ধ্বংসস্তুপ সরানোই সরকারের প্রধান কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এখনও যেসব এলাকায় মানুষ আটকে রয়েছে বহু জায়গায়। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে সরকারী রিপোর্টে।
১২টা ১০: আগামী দু'দিন পাহাড়ে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পুর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর।
১২টা ০৩: বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা খুলে দিল সেনা বাহিনী। কয়েকদিনের যুদ্ধকালীন প্রচেষ্ঠায় রাস্তা খুলে দেওয়া সম্ভব হল।
সকাল থেকেই দেরাদুনে শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। আর এতে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। এতে ফের উত্তরাখণ্ডে দুর্যোগের সঙ্কট আরও বেড়েছে। দিনভর বৃষ্টি ও ধসে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। নতুন করে ধস নেমেছে রুদ্রপ্রয়াগ থেকে গুপ্ত কাশীর বিভিন্ন জায়গায়।
সকালে ধস নামে হৃষিকেশ-উত্তরকাশী এলাকায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৮ শে জুন পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে। ফলে উদ্ধারকাজ নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
বিপর্যয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিপর্যয়। সকাল থেকেই অবিরাম বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড। বৃষ্টির জেরে নতুন করে ধস নেমেছে রুদ্রপ্রয়াগ ও গুপ্তকাশি সড়কে। টানা বৃষ্টি আর ধসে ব্যাহত হয়েছে উদ্ধার কাজ। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সাত হাজারেরও বেশি পর্যটক এখনও আটকে রয়েছেন বদ্রিনাথে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে আগামি তিন চার দিন এমনই বৃষ্টি চলবে। সেক্ষেত্রে উদ্ধারকাজ চালানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছে উদ্ধারকারী জওয়ানরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিণ্ডে জানিয়েছেন, কেদারনাথ ও বদ্রিনাথ থেকেই উদ্ধারের কাজে সব থেকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সোমবারের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় হেলিকপ্টারে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হয়েছে। সেনবাহিনীরসূত্রে জানা গেছে প্রায় পাঁচহাজার তীর্থযাত্রী এখনও আটকে রয়েছে বদ্রিনাথে। গুপ্তকাশি ও গৌচরেও উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি। হেলিকপ্টারে উদ্ধারকাজ সম্ভব না হলেও স্থলপথে চলেছে উদ্ধারকাজ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামা জলস্রোতের মধ্যেই দড়ির ব্রিজ তৈরি করে উদ্ধার করেছেন আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের। তবে বিপর্যয়ের দোহাই দিয়ে সেনাবাহিনীর উদ্ধারের অপেক্ষায় বসে থাকেননি অনেক পর্যটক। নিজেরাই দুর্গম পথ পেরিয়ে রওনা দিয়েছেন নিরাপদ গন্তব্যের খোঁজে।
এখনও দশহাজারের বেশি পর্যটক বিপর্যস্ত দেবভূমিতে আটকে রয়েছেন। সোমবার মাত্র এক হাজারজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে উত্তরকাশির হারসিল, মেনারি,ভাটোয়ারিতে এখনও আটকে রয়েছেন বহু তীর্থযাত্রী। পচন ধরতে শুরু করেছে অনেক শবদেহে। যাঁদের দেহই সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছেনা। মৃতদের দেহ সনাক্তকরণের জন্য দেহ থেকে ডিএনএ সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য থমকে গেছে বিপর্যয়ে বলী হওয়া তীর্থযাত্রীদের গণসত্কারের কাজ।