মাত্র ৬ ঘণ্টায় ঋণ মুকুব রাহুলের, সঙ্গে হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে ঘুমাতে না দেওয়ার
মাত্র ৬ ঘণ্টায় মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে কৃষকদের ঋণ মুকুব করে রাহুল বলেন, “এখনই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন রাজ্যে জয় এসেছে কৃষকদের জন্যই- ফলাফল বেরনোর পরই এমনটা দাবি করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শপথ নেওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে কৃষকদের ঋণমুকুব করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কংগ্রেস সভাপতি। এরপরই তাঁকে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জোরদার নিশানা করতে। কী বললেন? তাঁর কার্যত হুঁশিয়ারি, যত ক্ষণ না কৃষি ঋণ মুকুব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিতে খেতে-ঘুমাতে-বসতে দেবেন না।
আরও পড়ুন- মেয়ে লভ জিহাদের শিকার বলে সোচ্চার হয়েছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিলেন সেই হাদিয়ার বাবা
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাফাল নিয়ে রাহুল যতই গলা উঁচিয়েছে, তাঁকে রুখতে পাল্টা ‘সেনা’ নামাতে হয়েছে বিজেপিকে। দেশ জুড়ে এক দিনে ৭০ জন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। শুধুমাত্র এই বলতে, রাফাল নিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছেন রাহুল গান্ধী। এ বার কৃষি ঋণ মুকুব নিয়ে রাহুলকেও আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেল।
মাত্র ৬ ঘণ্টায় মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে কৃষকদের ঋণ মুকুব করে রাহুল বলেন, “এখনই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।” যদিও রাজস্থানের ক্ষেত্রে কয়েক দিনের মধ্যেই ঋণ মুকুবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন কংগ্রেস সুপ্রিমো। এই তিন রাজ্যে সরকার বিরোধী হাওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের সমস্যা প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল নির্বাচনে। ঋণ মুকুব, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বৃদ্ধির দাবিতে মুম্বই, দিল্লিতে দেখা গিয়েছে কয়েক লক্ষ কৃষকের মিছিল। কৃষকদের সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মাথাব্যাথ্যা নেই বলে অভিযোগ করেন কৃষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন- সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে পড়বে, আশ্বস্ত করলেন মোদীর মন্ত্রী
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, এত দিনে এক টাকাও গরিব কৃষকদের ঋণ মুকুব করেননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র দু’টো ভারত তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এক দিকে কৃষক, গরিব মানুষ, তরুণ প্রজন্ম, ছোটো ব্যবসায়ী অন্য দিকে, দেশের সেরা ১৫ শিল্পপতি। তাঁদের পকেটে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নোটবন্দি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলে অভিযোগ রাহুলের। তাঁর মন্তব্য, নোটবন্দি লক্ষ্য ছিল গরিবের টাকা লুট করে বড়লোকদের হাতে তুলে দেওয়া। রাফাল বিষয়ে ফের মোদীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত চেয়ে রাহুল বলেন, জেপিসি হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কোনটা দুধ কোনটা জল।