হাফিজের সংগঠন নিষিদ্ধ করে ফের চোখে ধুলো? বলছে পাকিস্তানের অতীত

Feb 21, 2019, 22:29 PM IST
1/5

২০০৮ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ও তার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, ''জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে''।

2/5

কিন্তু এর আগেও হাফিজ সইদের দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছিল পাক সরকার। এবারও পাক সরকারের সিদ্ধান্ত চোখে ধুলো দেওয়ার কৌশল বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি। কূটনৈতিক মহলের মতে, আন্তর্জাতিক চাপে পড়েই এমন নাটক করছেন ইমরান খান। পাক সরকারের সদিচ্ছা থাকলে হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করত ইসলামাবাদ।  

3/5

২০০৮ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ। তার জড়িত থাকার সমস্ত প্রমাণ পাক সরকারে হাতে তুলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বরং পাক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে জামাই আদরে রয়েছে এই সন্ত্রাসবাদী। ২০০২ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে তার সংগঠনকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তকমা দেয় তারা। হাফিজের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘোষণা করে মার্কিন সরকার।

4/5

২০১৭ সালে অর্ডিন্যান্স জারি করে জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ করেছিল পাক সরকার। কিন্তু, অর্ডিন্যান্সের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় নিষিদ্ধ তালিকার বাইরে চলে যায় দুটি সংগঠন। সেটি পুনর্নবীকরণে আগ্রহ দেখায়নি ইমরান খানের সরকার। ফলে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে মুখ বাঁচাতে পাক সরকার যে নাটক করছে, তা স্পষ্ট।    

5/5

পুলওয়ামা হামলার পর আন্তর্জাতিকস্তরে কোণঠাসা পাকিস্তান। এমন চাপে ইমরান খান দাবি করেন, হামলার সঙ্গে ইসলামাবাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় আলোচনার প্রস্তাব দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানায়, এর আগে পাকিস্তানের হাতে সমস্ত প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছিল, তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এবার আর সে পথে যাবে না তারা।