বাগান ছাড়লেন ব্যারেটো

মোহনবাগানে শেষ হয়ে গেল ব্যারেটো যুগ। রবিবার যুবভারতীতে সবুজ-মেরুন জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ব্রাজিলের তারকা। গোল করে বিদায়ী ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখলেন ব্যারেটো। মোহনবাগানে শেষ হয়ে গেল ব্যারেটো যুগ। ১৯৯৯-এ ব্রাজিল থেকে এসে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ব্রাজিলিয় তারকা। তারপর প্রতিদিনই নিবিড় হয়েছে মোহনবাগানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক।

Updated By: May 6, 2012, 11:00 PM IST

মোহনবাগানে শেষ হয়ে গেল ব্যারেটো যুগ। রবিবার যুবভারতীতে সবুজ-মেরুন জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ব্রাজিলের তারকা। গোল করে বিদায়ী ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখলেন ব্যারেটো। মোহনবাগানে শেষ হয়ে গেল ব্যারেটো যুগ। ১৯৯৯-এ ব্রাজিল থেকে এসে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ব্রাজিলিয় তারকা। তারপর প্রতিদিনই নিবিড় হয়েছে মোহনবাগানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক।
অবশেষে রবিবার প্রকৃতির নিশ্চিত নিয়ম মেনেই রবিবার সবুজ-মেরুন জার্সি তুলে রাখলেন ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা বিদেশি।
রবিবারের সকালটা অন্যান্য দিনের থেকে একেবারে অন্যরকম ছিল ব্যারেটোর। সাড়ে ১২ টার মধ্যেই ট্যাক্সি করে হাজির ক্লাবের তাঁবুতে। চাপ কমাতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ক্লাব তাঁবুর মধ্যেই। সমর্থকদের আবদার মেনে ছবিও তোলেন। দুপুর ১ টার সময় রওনা দিলেন যুবভারতীর উদেশ্যে। টিম বাসে ওঠার আগে শেষবার ফিরে তাকালেন ক্লাব তাঁবুর দিকে। তাঁবুকে বিদায় বলে গেলেন মনে হয়। গোষ্ঠ পাল সরণী দিয়ে বাস চলল যুবভারতীর দিকে। গেটের বাইরে ব্যারেটোর বিশাল কাটআউট। সমর্থকদের চিৎকারের মধ্যে দিয়েই ড্রেসিংরুমের মধ্যে ঢুকে গেলেন ব্যারেটো। আড়াইটের সময় টানেল দিয়ে প্রবেশ করলেন মাঠে। মাঠে ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন দর্শকদের দিকে। তারপর নিজেকে ডুবিয়ে দিলেন অনুশীলনে।
ম্যাচের আগে তাঁকে জমকালো সংবর্ধনা দিল ক্লাব। ব্যারেটোর সম্মানে গ্যালারির টিকিট বিক্রি করেনি মোহনবাগান। সবুজ তোতাকে শেষবারের মতো সবুজ-মেরুন জার্সিতে দেখতে মাঠে হাজির ছিলেন প্রায় ৩০ হাজার দর্শক। রবিবার দুপুর থেকেই ব্যারেটোময় হয়ে উঠেছিল যুবভারতী।
ব্যারেটোকে সম্মান জানান তিন মোহনবাগানি সুব্রত ভট্টাচার্য,সত্যজিত চ্যাটার্জি আর চুনী গোস্বামী। ক্লাবের পক্ষ থেকে রুপোর নৌকা দেওয়া হয়। ওড়ানো হয় সবুজ-মেরুন ফানুস। স্পোর্টস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকার চেক ব্যারেটোর হাতে তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। ফুটবলারদের সই করা জার্সি ব্যারেটোর হাতে তুলে দেয় পুণে এফ সি। সপরিবার ব্যারেটো অভিবাদন গ্রহণ করেন যুবভারতীর দর্শকদের।
শেষবার মোহনবনাগান অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে নেতৃত্ব দিলেন ক্লাবকে। ছয় মিনিটের মধ্যেই লিমার পাস থেকে দুরন্ত গোল। যুবভারতীতে পুণে এফ সি-কে দুই-শূন্য গোলে হারাল সবুজ-মেরুন শিবির। বিদায় বেলায় এর চেয়ে ভাল স্ক্রিপ্ট বোধহয় লেখা হত না।
বিরতির সময় স্ত্রীকে নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করলেন ব্যারেটো। চোট নিয়েও শেষ ম্যাচে পুরো সময় মাঠে থাকলেন। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের আবদার মেনে উপহারও নিলেন। তারপর মিলিয়ে গেলেন টানেলের মধ্যে।
শেষ হয়ে গেল ব্যারেটোর মোহনবাগানে এক যুগ।

.