Rohit Sharma, BGT 2023: পিচ নিয়ে ভাবনা ছেড়ে ব্যাটিংয়ে মন দেওয়া উচিত, ফের বিস্ফোরক রোহিত

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলতে নামার আগে কেমন হবে আহমেদাবাদের বাইশ গজ? সেটা নিয়ে আলোচনা করতে না চাইলেও, রোহিতের কিন্তু পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই রেগে যাচ্ছেন। 

Edited By: সব্যসাচী বাগচী | Updated By: Mar 8, 2023, 03:53 PM IST
Rohit Sharma, BGT 2023: পিচ নিয়ে ভাবনা ছেড়ে ব্যাটিংয়ে মন দেওয়া উচিত, ফের বিস্ফোরক রোহিত
পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই রোহিতের বিস্ফোরণ! ছবি: টুইটার

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি ভাঙবেন। তবে মচকাবেন না। তিনি এক ও অদ্বিতীয় রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। নিজেদের পছন্দের ঘূর্ণি পিচ বানিয়েও চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির (Border Gavaskar Trophy 2023) তৃতীয় টেস্ট হারতে হয়েছে। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১০৯ ও ১৬৩ রানে অল আউট হওয়ার জন্য জলে গিয়েছে বোলারদের লড়াই। তবুও ঘূর্ণি পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই রেগে যাচ্ছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলতে নামার আগে কেমন হবে আহমেদাবাদের বাইশ গজ? সেটা নিয়ে আলোচনা করতে না চাইলেও, রোহিতের কিন্তু পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই রেগে যাচ্ছেন। 

পিচ নিয়ে ভাবনা ছেড়ে ব্যাটিংয়ে মন দেওয়া উচিত: আগেও অনেকবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। ফের বলছি, পিচ নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে বরং নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। সেটা করতে পারলেই টেস্ট জয় সম্ভব। দেখুন দিনের শেষে আমাদের কাজ হল পিচে রান করা। যেমনই পিচ হোক, জিততে হলে রান করতে হবে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কোনও ব্যাটারের মধ্যে রাতারাতি বদল আসা সম্ভব নয়। কারণ প্রত্যেকের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। আর সেটাই থাকা স্বাভাবিক। সেইজন্য আমার মতে এমন পিচে স্কিলের চেয়েও বেশি জরুরী হল কঠিন মানসিকতা বজায় রাখা। 

কঠিন পিচে মারকুটে ব্যাটিংই অস্ত্র: বিপক্ষের বোলাররা আমার উপর চড়াও হওয়ার আগেই আমি পালটা মার দিতে প্রস্তুত থাকি। আর এটাই আমার ব্যাটিংয়ের পুরনো স্টাইল। বরাবরই আমি এভাবে ব্যাট করি। কখনও সাফল্য পাই। আবার অনেক সময় ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়। কীভাবে বিপক্ষকে পালটা মার দিয়ে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখি সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব না। কারণ এটা জনসমক্ষে নিয়ে আসা উচিত নয়। এভাবেই এমন কঠিন পিচে ২০২১ সালে চেন্নাইয়ের পিচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলাম। এবারও সেই ছকে নাগপুরে শতরান করেছিলাম।   

ডিআরএস অনেকটা লটারির মতো!: গত টেস্টে ডিআরএস নিয়ে আমরা কয়েকটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু এটা খেলার অঙ্গ। আসলে উপমহাদেশীয় পিচে বাউন্স তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকে। তাই বল প্যাডে গিয়ে লাগলেই যে লেগ বিফোর পাওয়া যাবে, এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। আর সেইজন্য আমার কাছে ভারতে ডিআরএস অনেকটা লটারির মতো! এছাড়া আরও একটা ব্যাপার আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কেএস ভরত নতুন উইকেটকিপার। রঞ্জি ট্রফি কিংবা ভারতীয় এ দলের ম্যাচে ডিআরএস থাকে না। তাই ওর এক্ষেত্রে ভরতের অভিজ্ঞতা অনেক কম। তাই ওকে আরও সময় দেওয়া উচিত। 

আরও পড়ুন: Virat Kohli and Rohit Sharma: বিরাট-রোহিতের নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, বিস্ফোরণ ঘটালেন গম্ভীর

আরও পড়ুন: Jasprit Bumrah Health Update: অস্ত্রোপচার সফল, কবে মাঠে ফিরবেন 'বুম বুম বুমরা'? জেনে নিন

টস আমার কাছে ফ্যাক্টর নয়: এই প্রথমবার ভারতের মাটিতে আয়োজিত কোনও টেস্ট সিরিজে টসে জেতা দল ম্যাচ হেরেছে। ব্যাপারটা আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তাই আমি এবার টস হারতে চাইব (কিছুটা মজা করে)। তবে আমরা এই ধরনের পিচকে খুব ভালোভাবে জানি। তাই আমার কাছে টস জেতা-হারা একেবারেই ফ্যাক্টর নয়। যদিও নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে সাফল্য আসবেই। 

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাইশ গজের যুদ্ধ: দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সামনে এমন একটা ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে টেস্ট খেলা অবশ্যই গর্বের। তবে এটা খেলার একটা অঙ্গ। আমরা শুধু এই মুহূর্তে টেস্ট ও সিরিজ জয় নিয়েই চিন্তাভাবনা করছি। 

সব বিপক্ষকেই সমীহ করছি: এটা ভুল ধারণা। ক্রিকেট দুনিয়ার বাকি বিপক্ষের মতো অস্ট্রেলিয়াকেও সমীহ করছি। ওদের কোনওভাবেই হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। তবে এটাও ঠিক যে বিপক্ষ কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমি ভাবতে একেবারেই রাজি নই। তাছাড়া আমাদের কাছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের মতো তিন স্পিনার থাকতে কেনই বা বিপক্ষকে নিয়ে অহেতুক চিন্তা করতে যাব। 

টড মারফি ও  ম্যাথু কুনেম্যানের প্রশংসা: চলতি সিরিজে টড মারফি ও  ম্যাথু কুনেম্যান দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। ওদের বোলিং দেখলেই বোঝা যায় যে ওরা দু'জন একেবারে তৈরি হয়ে এখানে এসেছে। তাছাড়া ওদের সঙ্গে  ন্যাথান লিঁওর মতো অভিজ্ঞ স্পিনার রয়েছে। সেটা ওদের কাছেও বাড়তি পাওনা ছিল। একটা কথা মনে রাখতে হবে দুটি টেস্ট হেরেও ছন্দ বজায় রেখে বোলিং করা কিন্তু মোটেও জলভাত নয়। 

ঋষভের জায়গা নিতে পারবেন ঈশান?: ঋষভ পন্থ আমাদের দলের অপরিহার্য। ওকে মারাত্মক ভাবে মিস করছি। কে এস ভরত সেই জায়গা ভরাট করার পুরোপুরি চেষ্টা করছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা ঈশান কিশানকে খেলাতেই পারি। কিন্তু সেটা করলে কেএস ভরতের প্রতি অন্যায় করা হবে। এমন পিচে কিন্তু কিপিং করা মোটেও সহজ নয়। আর তাই সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই ওকে সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে ওকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া আমার কাজ। সেটাই করছি। তাছাড়া ভরত কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করেছে। তাই ওকে আরও সুযোগ দিতে চাই।  

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.