পারল না মোহনবাগান, কলকাতা থেকে ডুরান্ড কাপ জিতে নিয়ে গেল গোকুলাম
ইস্টবেঙ্গলকে টপকে সব থেকে বেশিবার (১৭) ডুরান্ড কাপ জেতার সুযোগ ছিল মোহনবাগানের সামনে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আশায় বুঁক বেঁধেছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। কিন্তু তাদের প্রিয় দল শেষ পর্যন্ত পারল না। কলকাতা থেকে ডুরান্ড কাপ জিতে নিয়ে গেল গোকুলাম কেরালা। ২-১ গোলে হেরে মোহনবাগানের স্বপ্ন চুরমার। ১৯ বছর পর সোনার সুযোগ মোহনবাগানের সামনে এসেছিল। ইস্টবেঙ্গলকে টপকে সব থেকে বেশিবার (১৭) ডুরান্ড কাপ জেতার সুযোগ ছিল। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে শুরুতেই এলোমেলা ফুটবল খেলার খেসারত দিতে হল কিবু ভিকুনার দলকে।
আরও পড়ুন- আবেগ ভরা টুইটে অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা কোহলির, উঠে এল ২০০৬-এর এক ঘটনা
এদিন গোকুলাম প্রথমার্ধেই একাধিক সহজ সুযোগ ফস্কায়। না হলে ডুরান্ড কাপ ফাইনাল ম্যাচ আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত তারা। কিন্তু গোকুলাম দলটা যেন একজন ভাল ফিনিশারের অভাবে ভুগছিল। বারবার গোলের সামনে গিয়েও ছন্নছাড়া হয়ে পড়ছিলেন গোকুলামের স্ট্রাইকাররা। কখনও দিশাহীন শট, কখনও আবার সঠিক সময় টাচ দিতে না পারায় ফস্কে যাচ্ছিল একের পর এক সুযোগ। সেইসঙ্গে ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রকট হচ্ছিল মোহনবাগান রক্ষণের কঙ্কালসার দশা।
চলতি মরশুমে দ্বিতীয় ও ডুরান্ড কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মোহনবাগানের গোলকিপার দেবজিত্ মজুমদার। তিনি এদিন ভাল পারফর্ম করে কোচের ভরসার দাম দিলেন। কিন্তু ম্যাচের ৪৪ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সে কিসেকাকে ফাউল করে বসেন দেবজিত। গোকুলাম উপহার হিসাবে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায়। পেনাল্টি থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন মার্কাস জোসেফ। এর পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের গোল করেন সেই মার্কাস জোসেফ। চলতি মরশুমে ১১টি গোল করে ফেললেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন- ড্রেসিংরুমে পড়াশোনায় ব্যস্ত কোহলি! নেটিজেনরা বললেন, এতদিন হাতে উঠেছে সঠিক বই!
সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে রুখে দিয়েছিলেন গোকুলামের গোলকিপার উবেইদ। কিন্তু এদিন যেন তিনি ছন্দে ছিলেন না। ৬৪ মিনিটে বেইতার লুজ হেড গ্রিপ করে ব্যর্থ হন উবেইদ। মোহনবাগানকে একটি গোল উপহার হিসাবে দেন তিনি। এর পর বারবার ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল মোহনবাগান। অতিরিক্তি সময়ের একেবারে শেষদিকে একটি সহজ সুযোগও মিস করেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। ম্যাচের একেবারে ১০ জনে খেলে গোকুলাম। দলের ডিফেন্ডার জেস্টিন জর্জ জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
মোহনবাগান: মোরান্তে, গুরজিন্দর, আশুতোষ, সালভাদর, বেইতিয়া, নাওরেম, কিমকিমা, সুহের, সুরাবুদ্দিন, দেবজিৎ ও সাহিল।