Venkatesh Iyer | KKR: 'রিঙ্কু আমাদের বাঁচিয়ে দিল', দুরন্ত ইনিংসের পর ভেঙ্কটেশের মুখে সতীর্থেরই প্রশংসা!
Venkatesh Iyer says Rinku Singh saves their day: অনেকদিন পর অসাধারণ ব্যাট করলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। সেই ভিন্টেজ ভেঙ্কটেশকে দেখল মোতেরা। ম্যাচের পর ভেঙ্কটেশ কিন্তু ম্যাচের সেরা ও তাঁর সতীর্থ রিঙ্কু সিংয়েরই প্রশংসা করলেন। ভেঙ্কটেশ সাফ বললেন যে রিঙ্কুই তাঁদের বাঁচিয়ে দিয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এটা বাস্তব যে, রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) যে ইনিংস খেললেন, তার ঘোর কাটতে অনেক সময় লেগে যাবে। রিঙ্কুর অবিশ্বাস্য ইনিংসে ভর করেই কলকাতা গুজরাত টাইটান্সকে (Gujarat Titans) তিন উইকেটে হারিয়েছে। প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন উত্তরপ্রদেশের বছর পঁচিশের ক্রিকেটার ক্রিকেটার। তবে বলতে হবে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের কথাও। তিনিও কলকাতার রুদ্ধশ্বাস জয়ের নেপথ্যের কারিগর। তিনি ও নীতীশ রানা (Nitish Rana) মিলে বিশ্বাস করাতে শুরু করেছিলেন যে, কেকেআর জিততে পারে গুজরাতের পর। ভেঙ্কটেশ দীর্ঘদিন পর আবার ব্যাট হাতে ঝলসে উঠলেন। তবুও ম্যাচ জিতে তিনি ভূয়সী প্রশংসা করলেন সতীর্থ রিঙ্কুরই।
ম্যাচের পর ভেঙ্কটেশ বলেন, ''একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতলাম। যেভাবে এই জয় এল, তাতে আমি অত্যন্ত খুশি। আমাদের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলেছিলেন, যে কোনও জায়গা থেকেই আমরা ২০০ করতে পারি। আজকের রাত আবারও বুঝিয়ে দিল যে, দল হিসেবে কেকেআর কখনও হাল ছাড়বে না। দেখতে গেলে একেবারে ব্যাটিং উইকেট ছিল। আমি শুধু পরিকল্পনা মাফিক খেলার চেষ্টা করেছি। ২০০ টার্গেট হলে কখনও সায়লেন্ট ওভার হতে পারে না। আমি আর নীতীশ টোনটা সেট করে দিয়েছিলাম। আমরা উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। রিঙ্কু আমাদের বাঁচিয়ে দিল। রশিদ খান বিশ্বমানের বোলার। তবুও ভেবেছিলাম যে, আমরা ম্যাচ জিততে পারি। আমরা যে কোনও রান তাড়া করতে পারি। আজ আমরা শিখলাম যে, শেষ বল পর্যন্ত হাল ছাড়ব না। এই জয় আমাদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা করে দিল। জেতাটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। প্রথম ম্যাচে আমরা হয়তো সেভাবে ভাগ্যের সঙ্গ পাইনি। শেষ দুই ম্যাচে ২০০ করলে অবাক হতাম না। কারণ আমাদের একটা স্বচ্ছতা রয়েছে দলের মধ্যে। আমি ছন্দে ছিলাম না। কিন্তু আজ মাঠে নেমে লেট খেলে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে চেয়েছি। পিচে বাউন্স ছিল ভালো। ওদের বোলারদের গতির ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য ইনিংসের পর আবেগি রিঙ্কু, মাথা গুঁজলেন কোচের বুকে, মুখে বিশ্বাসের কথা
এদিন ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে, ৪০ বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। যা অনেকদিন মনে থেকে যাবে ফ্যানদের। আটটি চার ও পাঁচটি ছয় হাঁকান তিনি। কেকেআর চার ওভারে ২৮ রান তুলতে গিয়ে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেখান থেকে রানা-ভেঙ্কটেশের ৫৫ বলের জুটিতে ১০০ রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে। ২৯ বলে দুরন্ত ৪৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রানা। ভেঙ্কটেশ যখন ফেরেন, তখন কলকাতার স্কোর চার উইকেট হারিয়ে ১৫৪। তবে ১৭ নম্বর ওভারে এসে রশিদ একাই কামাল করে দেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। পরপর তিন বলে তুলে নেন তিন উইকেট। আন্দ্রে রাসেল (১), সুনীল নারিন (০), শার্দূল ঠাকুর (০) হন রশিদের শিকার। চলতি আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক এল রশিদের সৌজন্যে। এরপরেই এই ম্যাচ কেকেআরের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। এমনটাই ভেবে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু সব হিসেব বদলে দিলেন রিঙ্কু। শেষ ৬ বলে কেকেআরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। রিঙ্কু টানা পাঁচটি ছয় মেরে সব হিসেব বদলে দেন। যশ দয়াল ভাবতে পারেননি যে বল হাতে তাঁর এমন দুর্দিন আসতে চলেছে।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)