Balurghat: নদীতে মিলল ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার নগ্ন দেহ, ঘরে ত্রিশূল নিয়ে পুজোয় ব্যস্ত স্বামী!
তন্ত্রসাধনায় স্ত্রীকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা স্বামীর?
নিজস্ব প্রতিবেদন : আত্রেয়ী নদী থেকে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) এক মহিলার নগ্ন দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের (Balurghat) সৈয়দপুর এলাকায়। ওই মহিলা আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন নাকি তাঁকে খুন (Murder) করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে? তা নিয়ে ধন্দে পুলিসও। প্রায় তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর আজ ওই মহিলার নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্ত। ওই মহিলা নিখোঁজ হওয়ার পিছনে তাঁর স্বামীর হাত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত স্বামী স্বপন মুর্মুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামী তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্ত। বাড়িতে পুজোআচ্চার প্রচলন রয়েছে। এখন পাখি মুর্মু নামে ওই মহিলা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই নিজেকে ঘরবন্দি করে নিয়েছিল মৃতার স্বামী স্বপন মুর্ম। কয়েকদিন ধরে ঘরের ভিতরই ত্রিশূল, তির, ধনুক দিয়ে পুজো করছিল সে। কাউকেই সে ঢুকতে দেয়নি সেই ঘরে। আর সেখান থেকেই দানা বেঁধেছে সন্দেহ। মৃতার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ও দেহ উদ্ধারের পিছনে স্বামীর 'হাত' থাকতে পারে। থাকতে পারে অন্য কোনও রহস্য।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিস। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। তাতে সামনে আসে যে, পাখি মুর্মু নামে বছর কুড়ির ওই গৃহবধূ ৫ মাসের অন্ত্বঃসত্তা ছিল। মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ এলাকায় তার বাপেরবাড়ি। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। যদিও মৃতার শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, তাদের ছেলেও একইদিন থেকে নিখোঁজ ছিল। দুদিন আগে ছেলে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু বৌমার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তাই গতকালই বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরপর আজ দেহ উদ্ধার হয়। তদন্ত শুরু করে বালুরঘাট থানার পুলিস মূল অভিযুক্ত স্বপন মুর্মুকে গ্রেফতার করে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে বালুরঘাট থানা।