Dhaniakhali TMC Leader Murder: ধনেখালিতে তৃণমূল নেতা খুনে ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সেই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল। ২০১৮ সালে ভোটের ফল ঘোষণার পরই ধনেখালিতে খুন হন তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয়। পঞ্চায়েতে তৎকালীন বিদায়ী উপ-প্রধান ছিলেন তিনি।
নির্মল পাত্র ও বিধান সরকার: সময় লেগে গেল ৪ বছর। হুগলির ধনেখালিতে তৃণমূল নেতাকে খুনের মামলায় রায় ঘোষণা করল আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল ৮ জনকে। রেহাই পেলেন না তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানও। এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ১৩ জন। ৫ জন এখনও ফেরার।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? ২০১৮ সালে ধনেখালিতে খুন হন স্থানীয় গোপীনাথপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৎকালীন বিদায়ী উপ-প্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরা। কীভাবে? সেই বছর পঞ্চায়েত ভোট ছিল। অভিযোগ, ফল ঘোষণার পর পঞ্চায়েতের কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে শাসকদলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে গন্ডগোল শুরু হয়। ২৩ মে সভা ডাকা হয়েছিল ধনেখালি ব্লক অফিসে।
আরও পড়ুন: Canning Murder: ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনকে খুন, পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত
ব্লক অফিসে সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মৃত্য়ঞ্জয়। বৈঠক শেষ হওয়ার পর যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন ধনেখালির কুমরুল বাজারে তৎকালীন বিদায়ী উপপ্রধানের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। হাতে ছুরি, শাবল, রড আর ভোজালী। প্রথমে বাইক থেকে নামানো হয় তৃণমূল নেতাকে। তারপর পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন! রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা সংকটজন হওয়ায় রোগীকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। ২ দিন পর হাওড়ার একটি নার্সিংহোমে মারা যান মৃত্যুঞ্জয় বেরা।
কারা খুন করল? ধনেখালি থানায় গোপীনাথপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী। তদন্তে নেমে নদিয়া, হাওড়া, এমনকী অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ৬ জন। বাকি ২ জন ছিলেন পুলিসি হেফাজতে। মামলা চলছিল চুঁচুড়া আদালতে। এদিন ৪ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনালেন বিচারক।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্য়ানিংয়ে পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৩ তৃণমূল নেতাকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। প্রথমে গুলি, তারপর ধারালো অস্ত্রের কোপ! সেই ঘটনায় কেরালার কোঝিকোড় থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার কর পুলিস। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হচ্ছে রাজ্যে। এর আগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতুলিতে ধরা পড়ে আফতাফউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার কয়েক দিন আগেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেইমতো হামলাকারীদের আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় আফতাফউদ্দিন। বাইকে চেপে স্বপন মাঝিদের অনুসরণ করছিল সে এবং আততায়ীদের লোকেশন জানিয়ে দিচ্ছিল! এরপরই কচুয়া এলাকা রাস্তা আটকে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।