বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হবে না, পাঠানো হবে জুনের নতুন বিল, মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জানাল CESC

ইতিমধ্যেই যাঁরা বিল পেমেন্ট করে দিয়েছেন, তাঁদের কী হবে? সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা এদিন বিদ্য়ুৎমন্ত্রীকে জানাননি সিইএসসি কর্তারা। ভেবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

Reported By: শ্রাবন্তী সাহা | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Jul 20, 2020, 02:19 PM IST
বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হবে না, পাঠানো হবে জুনের নতুন বিল, মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জানাল CESC
ফাইল ফোটো

নিজস্ব প্রতিবেদন : কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলল। কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলল না। আশ্বাস মিললেও, সমাধান মিলল না। সাময়িক জট কাটলেও, রফাসূত্র মিলল না। আতস কাঁচের তলায় ধরলে এটাই হল সিইএসসি কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকের নির্যাস।

এদিন বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ ঘোষ ও ইডি এইচআর গৌতম রায়। মন্ত্রীকে তাঁরা এই বলে আশ্বাস দেন যে, এপ্রিল ও মে মাসের বিল কী হবে, তা নিয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন আপাতত যত দ্রুত সম্ভব গ্রাহকদের শুধু জুন মাসের বিল পাঠানো হবে। শুধু জুন মাসের নতুন বিল হবে সেটা। একইসঙ্গে সিইএসসি-র তরফে আরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, কোনও কানেকশন কাটা হবে না। তাই দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু ইতিমধ্যেই যাঁরা বিল পেমেন্ট করে দিয়েছেন, তাঁদের কী হবে? সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা এদিন বিদ্য়ুৎমন্ত্রীকে জানাননি সিইএসসি কর্তারা। ভেবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সিএইএসসি কর্তারা শুধু এটুকু বলেন যে, "রিবেট পাবেন যাঁরা বিল দিয়েছেন। গ্রাহকদের উপর যাতে না চাপ হয় সেটা দেখা হবে।"

প্রসঙ্গত, লকডাউনে CESC-র বিল নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছয় হয়রানি। জুন-জুলাই মাসের বিল আসতেই গ্রাহকরা দেখেন হাজার হাজার টাকা বিল এসেছে। কখনও তা মাত্রা ছাড়িয়ে লক্ষাধিক পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল আসে। সিইএসসি-র তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, লকডাউনে সবাই ঘরবন্দি, বাড়িতে। তাই বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে। তবে সে যুক্তি খুব একটা ধোপে টেকেনি। 'বিলে জল মেশানো'র অভিযোগে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। এমনকি বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই বিল আসে প্রায় ১১ হাজার টাকা। মাত্রাতিরিক্ত বিল নিয়ে তারপরই হুঁশিয়ারি দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই নড়েচড়ে বসে CESC। 

সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিদ্যুতের বিলে গলদ থাকলে তা পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সমস্ত সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হবে কেন এত বিল। সেইমতো শনিবার বিজ্ঞাপনও দেয় সংস্থা। তবে বিজ্ঞাপনে ভুলের কোনও কথাই স্বীকার করেনি। বরং উল্টো জানায় বিলের সম্পূর্ণ টাকাই দিতে হবে। তা দেখে ফের চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রাহকদের মধ্যে। তবে শেষপর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে খানিকটা পিছু হটল সংস্থা।

আরও পড়ুন, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ড নিয়ে নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের

.