রাজ্যে মিম-এর বাড়বাড়ন্তে সতর্ক প্রশাসন, ৬ ডিসেম্বর নিয়ে পুলিস সুপারদের কড়া নির্দেশ ডিজির
৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার ২৭ বছর। ইতিমধ্যে অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে সক্রিয় হচ্ছে মিম। রাজ্যে মিম-এর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের আগেই সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সতর্ক করেছিলেন পুলিস প্রশাসনকেও। এবার সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ভাঙার দিনে, পুলিস সুপারদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন ডিজি শ্রী বীরেন্দ্র।
৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) ভাঙার ২৭ বছর। ওই দিন রাজ্যে যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই মর্মে পুলিস প্রশাসনকে আগাম সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলার পুলিস সুপার, আইজি, ডিআইজি-দের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে বলেন, ওইদিন রাজ্যে এমন কোনও অনুষ্ঠান করতে দেবেন না, যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। ভিন রাজ্য থেকে এসে কেউ কেউ উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। নাম না করে মিম-এর (AIMIM) ব্যাপারেও পুলিসকে সতর্ক করেন মমতা। প্রত্যেক থানা এলাকায় ওইদিন বাড়তি নজরদারি দিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৬ ডিসেম্বরের আগেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে কোনও কোনও সংগঠন। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন মমতা। এবারের ৬ ডিসেম্বরে পরিস্থিতিটা আরও একটু তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বদলে মুসলিম পক্ষকে অযোধ্যাতেই বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও এই রায়ে অসন্তুষ্ট জামাত-এ-উলেমা-হিন্দ ইতিমধ্যেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালত দ্বারস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমি বেজায় খুশি', বললেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ
এই পরিস্থিতিতে ৬ ডিসেম্বর রাজ্যে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে কড়া প্রশাসন। উল্লেখ্য, সম্ভবত জানুয়ারির শুরুতেই কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভার আয়োজন করতে চলেছে AIMIM। আর সেই জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে হাজির থাকতে পারেন দলের সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ওই সভা থেকেই এরাজ্যে পুর নির্বাচনের প্রচার শুরু করতে চায় মিম। এক মিম শীর্ষনেতা এমনটাই জানিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ক্রমশ বাড়ছে AIMIM-এর সংগঠন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের সব কটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে দলটি। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বিহারের কিষানগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতেছে AIMIM। তারপর থেকে উত্তরবঙ্গ ও বিহারে তাদের সংগঠনে জোয়ার এসেছে।