হামলার কৌশল বদলাচ্ছে জঙ্গিরা, মাহির গ্রেফতারির পর গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিশ্ব জুড়ে হামলার কৌশল বদলাচ্ছে জঙ্গিরা। গুলি করে বা গলা কেটে নয়, পটাসিয়াম সায়ানাইড ইঞ্জেকশন ব্যবহারের করে খুনের নয়া ছক কষছে আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। মাহিকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্ব জুড়ে হামলার কৌশল বদলাচ্ছে জঙ্গিরা। গুলি করে বা গলা কেটে নয়, পটাসিয়াম সায়ানাইড ইঞ্জেকশন ব্যবহারের করে খুনের নয়া ছক কষছে আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। মাহিকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের।
রাজ্যজুড়ে ক্রমাগত জাল বিস্তার করছে আল কায়দা। মঙ্গলবার রাতে এসটিএফ-এর জালে ধরা পড়ে আল কায়দা মডিউলের আরও এক জঙ্গি। তনভির-রিয়াজের পর পানিট্যাঙ্কি থেকে গ্রেফতার করা হয় মাহিকে।
বাংলায় ক্রমশ ঘাঁটি গাঁড়তে শুরু করেছে আল-কায়দা জঙ্গিরা। তনভির-রিয়াজকে পাকড়াও করার পর এমনই অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের লাগাতার জেরা করতেই আসে সাফল্য। জানা যাচ্ছে, ধৃত মাহি আদতে বাংলাদেশের কাছারিকাণ্ডির নরসিংডি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকারই একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করত সে। আর সেই সময় থেকেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে মাহির।
২০১৫ সালে মীরপুরের এক স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ও ভাইস প্রিন্সিপ্যালকে খুনের ছক করে মাহি। সেই খবর পুলিস আগেভাগে পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ছক ভেস্তে যায় এবং এনকাউন্টারে ধরা পড়ে মাহির এক সঙ্গী। জানা যায়, ওই সময় চিরাচরিত গুলি,ছুরির বদলে পটাসিয়াম সায়ানাইড ইঞ্জেকশন নিয়ে খুনের ছক কষে জঙ্গিরা । কিন্তু, ওই ছক ভেস্তে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচিয়ে সীমান্ত পার করে এদেশে ঢুকে পড়ে মাহি।
জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে বসিরহাট হয়ে এরাজ্যে ঢুকে পড়ে মাহি। তারপর তনভির-রিয়াজের সঙ্গে চলে আসে হাওড়ার বালাজি লজে। কিছুদিন সেখানে কাটানোর পর এসটিএফ-এর হাতে ধরা পড়ে যায় তনভির-রিয়াজ। তড়িঘড়ি দুর্গাপুরে গা ঢাকা দেয় মাহি। সেখানে কিছুদিন কাটানোর পর চলে যায় শিলিগুড়ি। সেখান থেকেই পানিট্যাঙ্কি হয়ে নেপাল পালানোর ছক ছিল মাহির।