Rain in Bengal: জমিতেই পড়ে পাকা ধান; শীতের এই জল সহ্য করতে পারবে না আলু, আতঙ্কে চাষিরা
Rain in Bengal: বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার দাপট। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মেঘলা আকাশ মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পড়ছে।
চম্পক দত্ত ও নকিবুদ্দিন গাজি: কাল থেকে চলছে টানা বৃষ্টি। কখনও ঝিরঝিরে, কখনও হালকা থেকে মাঝারি। ফসল তোলার মরশুমে মাথায় হাত চাষিদের। রাজ্যের বহু জেলায় মাঠ থেকে এখনও ঘরে ধান তুলতে পারেনি চাষিরা। অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় আলু চাষ করে আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে চাষিদের। বৃষ্টির কারণ জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে ধানের জমিতে। অন্যদিকে, আলু জমিতে দাঁড়িয়ে গিয়েছে বৃষ্টির জল।
আরও পড়ুন-দিনভর বিরক্তিকর বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ; আবহাওয়ার বদল কবে, জানাল হাওয়া অফিস
টানা বৃষ্টির ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেজায় বিপাকে পড়ছেন চন্দ্রকোনায় আলু চাষিরা। জমা জল কাটাতে সকাল থেকে কোদাল হাতে জামিতে ঘুরছেন চাষিরা। কিন্তু সবার জমিতেই জল জমেছে। তাই সেই জল কাটিয়ে বের করবেন কোথায়? শুধু আলু চাষিরা নন, তারা বিপাকে পড়েছেন ধান নিয়েও। আবহাওয়ার খবর পেয়ে অনেকেই মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়িতে এনেছিলেন। কেউ আবার জমিতেই স্তুপ করে ধানের আঁটি জমা করে রেখেছেন। কিন্তু সেই ধনেও জল পেয়ে গিয়েছে। ফলে ধানা ঝেড়ে নিতে পারছেন না। অন্যদিকে, এমন বৃষ্টি আলু গাছ সহ্য় করতে পারবে না বলেই অভিমত চাষিদের।
বেশ খানিকটা জমিতে আলু চাষ করেছেন অসিত মালস। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, এই আলু টেকা মুসকিল। এই জল আসু সহ্য করতে পারবে না। এত আর ধান নয়! কয়েকদিন পর থেকেই আলু গাছ পচতে শুরু করবে। উঁচু জমিগুলিতে আলু কিছুটা টিকে থাকবে। তবে তাদেরও আলু পচবে। কাল সন্ধে থেকে একইভাবে বৃষ্টি পড়ছে। জমি থেকে নালা করে জল কাটিয়েও তা সরছে না। আড়াই হাজার টাকা বস্তা আলু বীজ কিনে, সার, শ্রমিক দিয়ে আলু লাগিয়ে চাষির হাতে আর টাকা নেই। এবার চাষির ডাহা লোকসান।
অন্যদিকে, বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার দাপট। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মেঘলা আকাশ মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পড়ছে। আর এই বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা অভাবে প্রভাব পড়েছে ফেরি সার্ভিসে । স্বাভাবিক তুলনায় কিছুটা হলেও দেরিতে চলছে ফেরি সার্ভিস।
অসময়ে বৃষ্টির জেরে সমস্যার মুখে পড়েছে কৃষকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা নামখানা ,সাগর কাকদ্বীপ ,ডায়মন্ডহারবার সহ একাধিক এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কৃষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়েছে। মাঠে পড়ে রয়েছে পাকা ধান এবং এই বৃষ্টির জেরে সেই পাকা ধান নষ্ট হতে পারে তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিজেদের ফসল ঘরে তুলতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কৃষক পরিবারগুলি। বৃষ্টিতে মাথায় নিয়ে মাঠে গিয়ে পাকা ধান তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। এ বিষয়ে সুব্রত পাহাড়ি নামে এক কৃষক তিনি জানান, বৃষ্টির জেরে মাঠের ধান মাঠেই পড়ে রয়েছে। বৃষ্টির জল পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধান। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মার থেকে পাকা ধান তুলতে পরিবারের সকল সদস্যরা কাজে হাত লাগিয়েছে। বৃষ্টির জল পড়ে ধান নষ্ট হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে আর এর ফলে বাজারে চালের দাম বাড়তে পারে। কৃষক পরিবারের এক মহিলা সদস্য কল্যাণী মান্না তিনি জানান, বৃষ্টির জেরে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে ধানের। বৃষ্টির মধ্যে যদি না ধান না তুলতে পারি তাহলে আরো ক্ষতি হবে। মাঠের ধান মাঠেই পড়ে থাকবে । তাই বৃষ্টির মধ্যে আমরা ধান তুলতে মাঠে এসেছি। সারা বছর এই চাষের উপর আমাদের নির্ভর করতে হয় বৃষ্টির জেরে চাষে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অসময়ের বৃষ্টির কারণে মাথায় হাত পড়েছে সবজি চাষিদের হোক। বৃষ্টির কারণে দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বাংলার চাষিরা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)