Jalpaiguri: 'মাকে সন্দেহ করত বাবা'! পারিবারিক অশান্তির জেরে 'চরম পরিণতি' বাবা-মা-ছেলের
স্ত্রীর সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। তারপর...
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাড়িতে পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী ও ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর নিজেও আত্মঘাতী হল অভিযুক্ত। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ির পানবাড়ি এলাকায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত ছেলে ও স্ত্রীকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে মৃতের নাম মহেন্দ্রনাথ রায় (৬০)। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় মহেন্দ্রবাবু বাড়ি আসেন। এরপর স্ত্রীর সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। ক্রমশ এই বাগবিতন্ডা হাতাহাতিতে গড়ায়। সেই অবস্থায় স্ত্রী মিনুবালা রায়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারলে, ছেলে রবি রায় মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে। মহেন্দ্রবাবু তখন রবির গলাতেও ওই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন বলে অভিযোগ। এরপরই মহেন্দ্রবাবু ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে মহেন্দ্রবাবুর পরিবারের লোক ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। দ্রুত তাঁরা গুরুতর আহত মিনুবালা দেবী ও রবি রায়কে হাসপাতালে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল ভর্তি করা হয়। এরপরই আজ অনেক বেলা হওয়ার পরেও মহেন্দ্রবাবু ঘরের দরজা না খোলায়, বড় মেয়ে প্রতিমা রায় ডাকতে আসেন। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা খুলে তিনি দেখেন, বাবা ঘরে আত্মঘাতী হয়েছেন।
বড় মেয়ে প্রতিমা রায় জানান, "বাবা আগে থেকেই এরকম। মাকে সন্দেহ করত। রবিবার রাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। মাকে ধারালো ছুরি দিয়ে মারে। তারপর ভাই এগিয়ে আসলে ভাইকেও মারে। আমি সকালে এই খবর জানতে পারি। বাড়িতে মাঝেমাঝেই এই ধরনের ঝামেলা হত।"
আরও পড়ুন, Sundarban: ভরা মরশুমে বন্ধ পর্যটন, দিন চলবে কী করে? 'মাথায় হাত' সুন্দরবন ব্যবসায়ীদের