পুজোর থিমে মনরোগের হাসপাতাল, অতিরঞ্জনে নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে নদীয়ার ক্লাব
নার্সরা দৌড়াচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে সামাল দিতে। আর তাই দেখতেই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকরা। নদীয়ায় সেই দৃশ্য দেখার উন্মাদনাও রীতিমতো চোখে পড়ার মতোই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিকে আগলের ওপারে হাত পা ছুঁড়ছেন কেউ, কেউ আবার ছেঁড়া জামাকাপড় পরে, রং মেখে বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গীও করছেন। কেউ হাসছেন, কেউ কাঁদছেন। কেউবা শিকল ভেঙে বেরনোর প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। আরেক সার দেওয়া বিছানা, রোগীদের ওয়ার্ড। সেখানও চলছে বিচিত্র সব কার্যকলাপ।
নার্সরা দৌড়াচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে সামাল দিতে। আর তাই দেখতেই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকরা। উন্মাদনাও রীতিমতো চোখে পড়ার মতোই। ঢোকার মুখের মূল ফটকে বড় করে লেখা, মানসিক হাসপাতাল। নাহ, এ কোনও মানসিক হাসপাতালের দৃশ্য নয়। নদীয়ার ধুবুলিয়ার একটি ক্লাবের কালীপুজোর থিম এটি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই থিমের বিতর্কিত ভিডিও। ক্যাপশনে লেখা "ধুবুলিয়া ১২ নং কালীপূজা ২০১৯, এটা শুধু আকর্ষণীয় থিম, এর সাথে বাস্তবে কোনও মিল নেই,,,," তবে এই ঘোষণাতেও কাজ হল না। ভিডিও দেখে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়েছেন নেটিজেনরা। উদ্যোক্তাকে কার্যত অশিক্ষিত বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশিরভাগ। থিমের অতিরঞ্জনে ক্ষুব্ধ অনেকেই। কেউ তীব্র নিন্দা করেছেন এই ধরনের কাজের। কেউ আবার বলছেন 'এবছরের সেরা'। কমেন্ট জুড়ে চলেছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ।
আরও পড়ুন: আপার প্রাইমারির মেধাতালিকা প্রকাশে বাধা নেই, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
যদিও সূত্রের খবর, ব্য়ক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই এই থিমের ভাবনা মাথায় এসেছে পুজো উদ্যোক্তাদের। তবে এই থিমের আসল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়নি এখনও। ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ্য আদৌ সফল হয়েছে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।