বোতলবন্দি জ্যান্ত ভূতের দাম ৫ লাখ!

ভূত কিনতে চেয়ে ফোনে ফোনে যোগাযোগ করে বাগুইআটির দুই আগ্রহী ক্রেতা। এদের মধ্যে একজন ছিলেন আবার কবিরাজ। কোনও মৃত সঞ্জীবনী ওষুধ জেনে নেওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর।

Updated By: Jan 21, 2018, 06:42 PM IST
বোতলবন্দি জ্যান্ত ভূতের দাম ৫ লাখ!

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভূত কিনবেন? বোতলবন্দি ভূতের দাম পাঁচ লক্ষ টাকা। সেই জ্যান্ত ভূত কিনতেই বাগুইআটি থেকে বর্ধমান পাড়ি দিয়েছিলেন দুই ক্রেতা। পরের ঘটনা পুরো সিনেমার মতো। দুই ক্রেতার বুদ্ধির চালে পুলিসের জালে চার ঠগবাজ। পর্দা ফাঁস ভূত বিক্রেতাদের।

জ্যান্ত ভূত দেখানোর গল্প ফেঁদেছিলেন চার শ্রীমান। ভূত কিনতে চেয়ে ফোনে ফোনে যোগাযোগ করে বাগুইআটির দুই আগ্রহী ক্রেতা। এদের মধ্যে একজন ছিলেন আবার কবিরাজ। কোনও মৃত সঞ্জীবনী ওষুধ জেনে নেওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। সেই মতোই ভূত কিনতে বর্ধমান পাড়ি দেন তাপস ও বাসুদেব। ফোনে জানানো হয়, বোতলবন্দি ভূতের দাম ৫  লক্ষ টাকা।

বর্ধমানে পৌঁছনোর পর তাঁদের নটরাজ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেলের ঘরে নিয়ে যাওয়ার পর একটা ঠান্ডা পানীয়ের বোতলে ১০ টাকার একটি কয়েন দেখান সুপ্রকাশ দে ওরফে বাপ্পা। বলা হয়, বোতলবন্দি  ভূতের দাম ৫ লক্ষ টাকা। খাওয়াদাওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা জমা করতেও বলা হয়। ঠগবাজদের ফন্দি বুঝতে পেরে এবার টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাপস চৌধুরী ও বাসুদেব কুণ্ডু। এরপরেই মুখোশ খুলে যায় ঠগবাজদের।

আরও পড়ুন, 'চোর' মেয়ে! বিষাক্ত ফল খাইয়ে খুন করল মা

ঘরে জোর করে আটকে রাখা হয় দুজনকে। টাকা না দেওয়া হলে ছাড়া হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়। বিপদ বুঝে এক বন্ধুর সঙ্গে বন্ধ ঘর থেকেই যোগাযোগ করেন দুই ক্রেতা। তিনিই ফোন করে বর্ধমান থানায় গোটা বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে যায় বর্ধমান থানার পুলিস। হাতে নাতে পাকড়াও করা হয় চার ভূত বিক্রেতা  সুপ্রকাশ দে, জয়ন্ত ধারা, অরূপ দাস ও বিকাশ গিরিকে।

.