দৃষ্টিসুখই সার! হিমঘরের ইলিশে মন ভরছে না বাঙালির, হতাশ ব্যবসায়ীরাও

বাজারের ইলিশগুলি বহরে বড় হলেও স্বাদে একেবারেই নিম্নমানের। তাই পাতে মন মতো টাটকা ইলিশ পেতে ভোজন প্রিয় মানুষদের আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তার কোনও সদুত্তর মিলছে না এখনই।  

Updated By: Jul 24, 2019, 02:10 PM IST
দৃষ্টিসুখই সার! হিমঘরের ইলিশে মন ভরছে না বাঙালির, হতাশ ব্যবসায়ীরাও

নিজস্ব প্রতিবেদন: আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ এসেছে। উঠেছে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার বিধিনিষেধও। তবু ইলিশের দেখা নেই রাজ্যের বাজারে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে পরিস্থিতি যে অনেকটাই আশঙ্কাজনক তা জানাচ্ছেন মৎস বিক্রেতারাই। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও ভরা বর্ষার মরসুমে দক্ষিণবঙ্গে বিমুখ বৃষ্টি। অনাবৃষ্টির কারণে মন্দা দেখা দিয়েছে রুপোলির শস্যর বাজারেও। সবমিলিয়ে রুখা-শুখা ইলিশহীন বঙ্গে মুখভার খাদ্যরসিক বাঙালিরও।

ইলিশ বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন যে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে, তার বেশিরভাগটাই হিমঘরের। যা গতবছরের সংরক্ষণ। এই ইলিশ ক্রেতাদের চোখের আরাম দিলেও মনের আশ মেটাতে পারছে না একেবারেই। অন্যদিকে ডায়ামন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা, দিঘার সমুদ্রে ট্রলার গেলেও সে অর্থে ইলিশ উঠছে না। কম বৃষ্টিপাতের কারণে মোহনাতেও ঢুকছে না সমুদ্রের ইলিশ। সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত ইলিশ না থাকায় চলতি বছর ইলিশ উৎসবেও লাগাম টানতে হয়েছে বিভিন্ন রেস্তরাঁকে। 

আরও পড়ুন: আজ বাড়িতেই জমিয়ে খান ডিম-ভাত, রইল রেসিপি

ইলিশ ব্যবসায়ী সন্দীপ বল জানিয়েছেন, "অন্যান্য বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে যথেষ্ট জোগান থাকে। তবে এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় অবস্থা খুবই খারাপ, আশা করছি বৃষ্টি হলেই অবস্থার পরিবর্তন হবে হবে।" হাওড়া, শিয়ালদহ, পাতিপুকুরে মাছ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের দাম স্বাভাবিক অর্থাৎ ৫০০-৬০০ মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। তবে সেগুলি বহরে বড় হলেও স্বাদে একেবারেই নিম্নমানের। তাই পাতে মন মতো টাটকা ইলিশ পেতে ভোজন প্রিয় মানুষদের আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তার কোনও সদুত্তর মিলছে না এখনই।  

Tags:
.