জলপাইগুড়িতে বিমাকর্মী খুনের কিনারা, ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ঘটনা

বাড়ির সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়েছিলেন গোপা শর্মা। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল দেহ।

Updated By: Oct 26, 2018, 05:36 PM IST
জলপাইগুড়িতে বিমাকর্মী খুনের কিনারা, ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্ধু সেজে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন। জলপাইগুড়ির বিমা কর্মী গোপা শর্মা খুনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, লুঠপাটের উদ্দেশ্যেই খুন করা হয় গোপা শর্মাকে। জেরায় সেকথা কবুল করেছে অভিযুক্তরা।

গত ১২ অক্টোবর জলপাইগুড়ি পুরাতন পান্ডাপাড়ায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গোপা শর্মার রক্তাক্ত দেহ। বন্ধ ঘর থেকে এলআইসি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় বিমা কর্মী গোপা শর্মা খুনের কিনারা করল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ৪ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতরা হল সনত্ মিত্র, শঙ্কর দাস,কৃষ্ণ দাস ও পাপাই রায়। ধৃতদের প্রত্যেকেরই বয়স ২২ থেকে ৩২-এর মধ্যে। সনত্ মিত্র ও শঙ্কর দাসকে আলিপুরদুয়ার থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, কৃষ্ণ দাস ও পাপাই রায়কে নিউ জলপাইগুড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃত চার অভিযুক্ত যুবকের প্রতেকেই শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন,স্বামী থাকে বিদেশে, পড়শি যুবকের সঙ্গে 'বন্ধুত্ব' গৃহবধূর, পরিণতি ভয়ঙ্কর

গোপা শর্মার খুনের পর বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ করেছিল এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কয়েক বছর আগে গোপা শর্মার স্বামী মারা যান। তারপর থেকে বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা। বাড়িতে অপরিচিত যুবকদের আনাগোনা লেগে ছিল। বাড়িভাড়ার আড়ালে মধুচক্র চলছিল বাড়িতে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর পুলিস জানিয়েছে, লুঠপাটের উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছে গোপা শর্মাকে। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, গোপা শর্মার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের লোক আসত। সনত্ মিত্রও "বন্ধু বেশে' আসে। পরে সনত মিত্র নামে ওই যুবক গোপা শর্মাকে 'মামী' বলে ডাকত ও তাঁর ফাইফরমাশ খাটত। সনতের ধারণা ছিল গোপা শর্মার কাছে ১০ লক্ষ টাকার সোনা রয়েছে। সেই সোনা লুঠের উদ্দেশ্যেই ৪ জন মিলে ১২ অক্টোবর রাতে গোপা শর্মার বাড়িতে আসে ও তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে।

আরও পড়ুন, আবার মেয়ে! 'খুন' করে খাল পাড়ে পুঁতে দিল বাবা, মা

 প্রসঙ্গত, বাড়ির সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়েছিলেন গোপা শর্মা। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল দেহ। বাড়িতে লুঠপাটের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। ধৃতদের এদিন জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃত ৪ যুবকের ৮ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

.