বদলে গেল ইতিহাস, বেসরকারিকরণ হয়ে গেল সিমলাগড় ষ্টেশন; নতুন নাম সিমলাগড় হল্ট
বেসরকারি হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। রেলের কোনও কর্মকর্তা না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই কোনও প্রশ্নের সদুত্তর পাননি যাত্রীরা।
![বদলে গেল ইতিহাস, বেসরকারিকরণ হয়ে গেল সিমলাগড় ষ্টেশন; নতুন নাম সিমলাগড় হল্ট বদলে গেল ইতিহাস, বেসরকারিকরণ হয়ে গেল সিমলাগড় ষ্টেশন; নতুন নাম সিমলাগড় হল্ট](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/04/13/372027-simlagarh.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাকপক্ষিও টের পেল না কিন্তু দেড়শ বছরের পুরনো রেল স্টেশন হয়ে গেল বেসরকারি। আর এর ফলে সমস্যায় পড়লেন নিত্যযাত্রীরা।
ইতিহাস বদলে যাওয়ার এই ঘটনায় হতবাক সকলেই। হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনের ব্রিটিশদের তৈরি করা সিমলাগর রেলস্টেশন, চলে গেল বেসরকারি হাতে। পয়লা এপ্রিল থেকে নাম বদলে খাতায়-কলমে হয়ে গেল হল্ট স্টেশন। হঠাৎ করেই এই রকম সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া হল তা জানতে পারলেন না নিত্যযাত্রীরা। শুধু তাই নয় বেসরকারিকরণ করা হলেও কোন পরিকাঠামো ছাড়াই দিয়ে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাতে। আর এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
টিকিট কাটতে গেলে সরকারি সিলমোহরের বদলে এখন বেসরকারি রাবার স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হচ্ছে টিকিট। তাও আবার যাত্রীদের দাবিমতো গন্তব্যের টিকিট দেওয়া হচ্ছেনা বলেই অভিযোগ। এর ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
১৮৫৫ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে ব্যান্ডেল-বর্ধমান শাখায় পান্ডুয়ার পরে সিমলাগর স্টেশনটি তৈরি হয়। বিগত কয়েকদিন আগেও যে স্টেশনটি অন্য সকল স্টেশনের মতনই ছিল সেটি পয়লা এপ্রিল থেকে সিমলাগড় হল্ট স্টেশনে রূপান্তরিত হয়েছে। যদিও এখনও সিমলাগর নামের পাশে এখনও হল্ট কথাটি লেখা হয়নি। কিন্তু রেলের কর্মী, স্টেশনমাস্টার থেকে সকলকেই তুলে নেয়া হয়েছে প্ল্যাটফর্ম থেকে। তার জায়গায় দায়িত্ব এসেছে বেসরকারি এজেন্টের কর্মীদের হাতে।
সবথেকে বড় যে সমস্যাটি দেখা দিয়েছে এখান থেকে হাওড়া অথবা অন্য কোনও স্টেশনের টিকিট চাইলে দেওয়া হচ্ছে ব্যান্ডেল পর্যন্ত টিকিট। যাত্রীদের বলে দেওয়া হচ্ছে ব্যান্ডেল স্টেশনে নেমে পরবর্তী গন্তব্য যাওয়ার জন্য সেখান থেকে টিকিট কেটে নেওয়ার জন্য।
স্বাভাবিক কারণেই এতদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষদের চাহিদামত যেখানে টিকিট মিলত সেই জায়গায় সরাসরি টিকিট না মেলায় বাধ্য হয়েই এই ব্রেক জার্নি মেনে নিতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। যাত্রীদের প্রশ্ন হঠাৎ করেই কোনও কারণ না দেখিয়ে এবং সকলের অজান্তেই এটা কিভাবে বেসরকারিকরণ হল। তার থেকেও বড় কথা কোনও পরিকাঠামো ছাড়াই স্থায়ী স্টেশনটি কীভাবে রূপান্তরিত হয়ে গেল হল্ট স্টেশনে।
আরও পড়ুন: Hanskhali: তথ্য অনুসন্ধানে তৈরি হল BJP-র কমিটি, থাকছেন সারা দেশ থেকে ৫ জন
যদিও বেসরকারি কর্মীরা জানিয়েছে এই মুহূর্তে তাদের কাছে সমস্ত প্ল্যাটফর্মের টিকিট তৈরি করা সম্ভব হয়নি তাই বাধ্য হয়েই সরাসরি গন্তব্য পর্যন্ত টিকিট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সবেমাত্র শুরু হওয়াতে এই সমস্যার তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বেসরকারি হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। রেলের কোনও কর্মকর্তা না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই কোনও প্রশ্নের সদুত্তর পাননি যাত্রীরা।