Suvendu Adhikari | Hanuman Jayanti: 'মমতা যেটুকু আছে শেষ হয়ে যাবে', মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ শুভেন্দুর
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে হনুমান জয়ন্তীতে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন কথা জানিয়েছেন। শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে পিসি ভাইপো কোম্পানি সঙ্গে চাচা ফিরহাদ হাকিম থেকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীদের জোট। তারা পশ্চিমবঙ্গেও পরিবারবাদ তোষন ও চুরির রাজনীতি করছে'। আব্দুল লতিফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। সেই বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া। সিবিআই খুব সুন্দরভাবে কাজ করছে।

কিরণ মান্না: বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে হনুমান জয়ন্তীতে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তীতে প্যারা মিলিটারি ফোর্স ডিপ্লোয়মেট প্রশ্নে বললেন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি নিন্দা করব তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাদের। সব চুরিতে তৃণমূলের সিদ্ধহস্ত। মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছেন। যেহেতু মমতা ব্যানার্জি ঠাকুরনগর খেজুরিতে দাঁড়িয়ে উসকে দিয়েছেন যে হনুমান জয়ন্তীতে পশ্চিমবাংলায় দাঙ্গা হবে সংখ্যালঘু মা-বোনেরা তোমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো দাঙ্গাবাজদের খতম করো। তিনি একজন সম্প্রদায়ের মা ভাই-বোনদের বলছেন খতম করো। খতম মানে তো হত্যা! একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কি করে এই মন্তব্য করতে পারলেন !তাই এই দাঙ্গাবাজ মমতা ব্যানার্জির উপরে জুডিশিয়ারি ভরসা রাখতে পারেনি। তার পুলিসের উপর ভরসা রাখতে পারেনি যেভাবে প্যারা মিলিটারি ডিপ্লোমেন্ট করা উচিত ছিল তা করেনি। চোখে ধুলো দিয়ে কোর্টকে দেখাচ্ছে আমি তোমাকে মান্যতা দিচ্ছি। মাত্র তিন কোম্পানি তিন জেলাতে নিয়োগ করা হয়েছে প্যারা মিলিটারি। এটা করতে গিয়ে রাজ্য পুলিসের তরফে যে নিয়ম জারি করা হলো সেটা আরেক বিপজ্জনক। সাধারণ মানুষের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার আঘাত আনলো’।
তিনি আরও বলেন, রিষড়ায় দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ডান্ডা যাতে না চালায় গুন্ডাদের উপর আক্রমণ যাতে না চালায় পুলিসকে সেই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, 'আজ হাওড়াতে আমি হনুমান জয়ন্তীর ঝান্ডা নিয়ে হাঁটবো। যদি আটকায় মমতা যেটুকু আছে শেষ হয়ে যাবে'।
শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে পিসি ভাইপো কোম্পানি সঙ্গে চাচা ফিরহাদ হাকিম থেকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীদের জোট। তারা পশ্চিমবঙ্গেও পরিবারবাদ তোষন ও চুরির রাজনীতি করছে। এখানেও মোদীজির আদর্শে আজ থেকে আমরা সংকল্প নিলাম পশ্চিমবাংলা থেকে ব্যানার্জির পরিবারবাদ আর সীমাহীন তোষন সরিয়ে এখানে রাষ্ট্রবাদ বিকাশবাদকে জয়যুক্ত করব’।
আরও পড়ুন: Malbazar: প্রতীক্ষার অবসান! মেটেলিতে ফিতে কেটে শুরু হল রাস্তার কাজ
তিনি জানিয়েছেন, ‘আজ সারাদিনটা ভালোভাবে কাটুক। সব সংখ্যালঘু ভাইয়েরা বা অন্য ধর্মের সব মানুষেরা খারাপ নয়। ১০০০ বড় মিছিল বেরিয়েছে। তিন চার জায়গায় এটা তৃণমূল করেছে। শামীম আহমেদ করেছে। রিষড়াতে জাবেদ আহমেদ খান করেছে। রিষড়ার ভাইস চেয়ারম্যান। কেন করছে, সংখ্যালঘুদের শিক্ষা দিতে পারেনি, চাকরি দিতে পারেনি, স্বাস্থ্য, বাড়ি দিতে পারেনি, গরিব থেকে গরীব হয়েছে, তাদের তো ভোট ব্যাংকটা সাগরদিঘীতে চলে যাচ্ছিল। ভোটব্যাংকটা ফিরিয়ে আনার জন্য করেছে’।
আব্দুল লতিফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া। সিবিআই খুব সুন্দরভাবে কাজ করছে। ঠিক লাইনে এগোচ্ছে সিবিআইয়ের উপরে আমাদের সকলের আস্থা রাখা উচিত’। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘তবে সিবিআই-এর প্রতি আমার ক্ষোভ আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি সারদার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি মমতা ব্যানার্জিকে তারা ছেড়ে রেখেছে’।
আরও পড়ুন: SSC Scam: লং মার্চে এসে সাঁকরাইলে গ্রেফতার ১৩ গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থী
রাজ্যপাল রাজধর্ম সুশাসন চালানোর রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিতে পারেন। সেটা শোনা অথবা না শোনার মমতা ব্যানার্জির কাজ বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হতে পারে না। তিনি আরও বলেন বাইক বাহিনী, লাল চুল, কানে দুল বাহিনী ভোট লুঠ করতে পারে।
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ‘এই রাজ্যে সরকার বলতে কিছুই নেই ট্রেন বাস সব বন্ধ হয়ে আছে। মমতা ব্যানার্জি ভোটের আগে কুর্মী সমাজের সঙ্গে নেগোশিয়েশন করেছিলেন। সেই কারণে জঙ্গলমহলের অনেক সিট তিনি জিতেছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাদের দাবি মেনে। আবার উল্টো দিক থেকে জনজাতিদের চাপে সেই দাবি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই সমস্ত সমস্যা তৈরি করার মূলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। ভোটে জেতার জন্য এবং তাঁর চুরির লাইসেন্স রিনিউয়াল করার জন্য তিনি এই কাজগুলি করেছিলেন। আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দুদিন অবরুদ্ধ এই রাস্তা। এই রাজ্যে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা যে নেই আর একবার প্রমাণ হলো’।