Kalyan-র বিরোধিতায় TMC লিগাল সেলের আইনজীবীরা, 'দিদির কথা অক্ষরে অক্ষরে মানছি,' বললেন সাংসদ
"ক্রমাগত দুর্নীতি লাঞ্ছনার জন্য এই বিক্ষোভ। তৃণমূল লিগাল সেলকে কখনও তিনি কোনও সাহায্য করেননি।"

নিজস্ব প্রতিবেদন : "দিদির কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি। তাই কিছু বলব না। যা দেখার দিদি দেখছে।" দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের সামনে তৃণমূলের লিগাল সেলের আইনজীবীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বললেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Kalyan Banerjee) বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাংসদ, এই মর্মে বিরোধিতা না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন তৃণমূল (TMC) সমর্থক আইনজীবীরা। আইনজীবী অচিন্ত্য ব্যানার্জি যেমন বলেন, "ক্রমাগত দুর্নীতি লাঞ্ছনার জন্য এই বিক্ষোভ। তৃণমূল লিগাল সেলকে কখনও তিনি কোনও সাহায্য করেননি। তিনি বাড়ির জন্যই কাজ করে থাকেন।"
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) বিরুদ্ধে তৃণমূল যেন ব্যবস্থা নেয় সেই দাবি জানান তিনি। বলেন, এতে তাঁদের লিগাল সেল ভালো করে এগিয়ে যাবে। অন্যদিকে মহিলা আইনজীবীদের দাবি, একাধিক সময়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য অনেক আইনজীবী মহিলাদের সঙ্গে কুরুচিকর আচরণ করেছেন। এখন তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে 'সবকিছু ২ মাসের জন্য বন্ধ রাখা উচিত' বলে 'ব্যক্তিগতভাবে' মত পোষণ করেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর সেই মন্তব্যের পরই রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এর পাশাপাশি, করোনার সংক্রমণ রুখতে অভিষেকের 'ডায়মন্ড হারবার মডেল' প্রশংসা কুড়োয় সব মহলে। দলের মধ্যে 'নেতা অভিষেকে'র নামে জয়ধ্বনি ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন,"দলের সাংগঠনিক জায়গায় যে যাকে খুশি বসাতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমি কাউকে নেতা বলে মানি না।"
তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক উস্কে ওঠে। পাল্টা তোপ দাগেন, কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। ওদিকে লোকসভার চিফ হুইপের পদ থেকে তাঁর অপসারণ দাবি করেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এমনকি, রিষড়া জুড়ে পোস্টার পড়ে যে "আর নয় কল্যাণ, অকল্যাণের মুক্তি চাই। শ্রীরামপুরে নতুন সাংসদ চাই।" সোশ্যাল মিডিয়াতেও দলের অনেকে লেখেন যে, "শ্রীরামপুরের কল্যাণ অকল্যাণ"। যদিও তৃণমূলের (TMC) শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তাঁকে সতর্ক করার পর এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে কেন বাদ বাংলার ট্যাবলো, মমতাকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা রাজনাথের