Arambagh: অ্য়াকাউন্টে আচমকাই ৫০ লাখ টাকা! দিল্লি থেকে এল 'সিবিআই', আতঙ্কিত নার্সিংহোম কর্মী
গতকাল রীতার বাড়িতে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ইডি নাকি সিবিআই কারা এসেছিল তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রীতা এনিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না। মেদিনীপুরে বাড়ি নির্মাল্য ঘোষের। এখন সে ফোনও তুলছে না
দিব্যেন্দু সরকার: বেসরকারি নার্সিং হোমে আয়ার কাজ করেন। তার অ্য়াকাউন্টে লাখ লাখ টাকা। হুগলির খানাকুলের ঘাসুয়া গ্রামের বাসিন্দা রীতা জানার বাড়িতে বাজ পড়ার মতো এসে পড়ল দিল্লির সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের নোটিস। রীতা নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না ওই বিপুল টাকা এল কীভাবে? সেই নোটিস পাওয়ার পর রীতা কখনও ছুটেছেন খানাকুল থানায়। কখনও দৌড়েছেন আরামবাগ মহকুমা পুলিস আধিকারিকের দফতরে।
আরও পড়ুন-রক্তচাপ বেড়ে অসুস্থ হলেও রোহিত-বিরাটদের সঙ্গে ইডেনে এলেন রাহুল দ্রাবিড়
নার্সিং হোম থেকে দৈনিক ২০০ টাকা পান রীতা। অ্য়াকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকলেও এত টাকা কীভাবে, ভেবেই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছেন পাড়ার লোকজন। রীতিমতো আতঙ্কিত রীতা।
সংবাদমাধ্যমে রীতা জানা বলেন, মাস চারেক আগে আমরা পরিচিত ও স্টেটব্যাঙ্কের আরামবাগ শাখায় কর্মরত নির্মাল্য ঘোষ তাঁর একটি অ্য়াকাউন্ট খুলে দেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে। আমার কাছে টাকা ছিল না। ও-ই টাকা দিয়ে অ্য়াকউন্ট খুলে দেয়। পরে আমাকে বলে এটিএম কার্ড দিতে। তা দিয়ে ও ওর টাকা তুলে নেয়। তার পর ও আমাকে বলে তোমার অ্য়াকাউন্ট থেকে আমি লেনদেন করবে। তোমাকে মাসে ৫ হাজার টাকা দেব। এখন দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের লোক এসেছে। ওরা বলছে আমার অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা রয়েছে। আমি এর কিছুই জানি না। এখন নির্মাল্য ঘোষকে পাচ্ছি না।
উল্লেখ্য, গতকাল রীতার বাড়িতে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ইডি নাকি সিবিআই কারা এসেছিল তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রীতা এনিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না। মেদিনীপুরে বাড়ি নির্মাল্য ঘোষের। এখন সে ফোনও তুলছে না।