উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত বিজেপি কর্মীর দেহে রয়েছে অসংখ্য 'পেলেট'-ক্ষত, জানালেন চিকিত্সক
উলেন রায়ের মৃত্যু পরই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করে, উলেন রায়ের দেহে পাখি মারার বন্দুকের গুলির মতো একাধিক ক্ষত দেখতে পাওয়া গিয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে গিয়ে মৃত উলেন রায়ের দেহে রয়েছে অসংখ্য 'পেলেট'-এর ক্ষত। এমনটাই জানালেন হাসপাতালের চিকিত্সক।
এদিন বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয় গজলডোবা থেকে আসা ওই বিজেপি কর্মীর। দেহে একাধিক ছোট ছোট ক্ষত নিয়ে তাঁকে বিজেপি সমর্থকরা ভর্তি করেন মহারাজ অগ্রসেন হেলথ কেয়ার সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সন্ধেয় সেই হাসপাতালের চিকিত্সকের দাবি, উলেন রায়ের দেহে একাধিক পেলেট-এর ক্ষত রয়েছে।
আরও পড়ুন-উত্তরকন্যা অভিযানে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, পুলিসের বিরুদ্ধে FIR হবে : কৈলাস
হাসপাতালের রিপোর্টে লেখা হয়েছে, উলেন রায়কে(৬৫) নিয়ে আসা হয় হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে। সে সময় তিনি ধুঁকছিলেন। তাঁদের বুকের বাঁদিকে একাধিক পেলেট-এর ক্ষত লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়াও পেটের ওপরের দিকেও রয়েছে একই ক্ষতচিহ্ন। পালস বা হার্ট বিট পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-লাঠি-গুলি চালিয়ে আন্দোলন ঠেকানোর চেষ্টা, মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক বিজেপির
উল্লেখ্য, উলেন রায়ের মৃত্যু পরই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করে, উলেন রায়ের দেহে পাখি মারার বন্দুকের গুলির মতো একাধিক ক্ষত দেখতে পাওয়া গিয়েছে। গোটা বুক রক্তাক্ত। এই ধরনের ক্ষত কীভাবে এল তা ময়না তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে। অন্যদিকে, কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেন, ওই দাগ রবার বুলেটের হতে পারে।
Today in Siliguri, serious acts of violence were committed by the supporters of a political party during their protest program. They resorted to arson, brick-batting, firing and vandalism of govt property. (1/2)
— West Bengal Police (@WBPolice) December 7, 2020
Police showed restraint and didn’t do lathicharge or used fire arms. Only water cannons and tear gas were used to disperse the violent crowd. However, death of a person has been reported. Body is being sent for PM. The actual cause of death will be known only after the PM (2/2)
— West Bengal Police (@WBPolice) December 7, 2020
এদিকে, পুলিসের দাবি, আন্দোলনকারীদের ওপরে কোনও গুলি চালানো হয়নি। আন্দোলনকারীরা ইট-পাথর ছোড়ে, অগ্নি সংযোগ করে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে। আন্দোলনকারীদের থামাতে পুলিস সংযমের পরিচয় দিয়েছে। লাঠি চার্জ বা কোনও গুলি চালান হয়নি। শুধুমাত্র জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যুর কারণ কী তা ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে।