জেনেরাল ব্রারকে আক্রমণের ঘটনায় স্থানীয়দের সাহাজ্য চাইল পুলিস

লেফটেন্যান্ট জেনেরাল কুলদীপ সিং ব্রারের আক্রমণের ঘটনায় সাধারণ আততায়ীদের সনাক্ত করতে সাধারণ মানুষের সাহাজ্য চাইল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। পুলিসের তরফ থেকে জানান হয়েছে চারজন আক্রমণকারীর প্রত্যেকেই কালো জ্যাকেট পরে ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রত্যেকেরই লম্বা দাড়ি ছিল বলেও জানান হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে তুলনায় অল্প বয়ষ্ক এবং রোগা বলে মনে করা হয়েছে।

Updated By: Oct 2, 2012, 09:46 AM IST

লেফটেন্যান্ট জেনেরাল কুলদীপ সিং ব্রারের আক্রমণের ঘটনায় সাধারণ আততায়ীদের সনাক্ত করতে সাধারণ মানুষের সাহাজ্য চাইল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। পুলিসের তরফ থেকে জানান হয়েছে চারজন আক্রমণকারীর প্রত্যেকেই কালো জ্যাকেট পরে ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রত্যেকেরই লম্বা দাড়ি ছিল বলেও জানান হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে তুলনায় অল্প বয়ষ্ক এবং রোগা বলে মনে করা হয়েছে। আক্রমণের পর তারা দ্রুত অক্সফোর্ড স্ট্রিটের দিকে পালিয়ে যায়। আক্রমণের ঘটনার সময় ওল্ড কিউবেক স্ট্রিটে উপস্থিত মানুষ, বিশেষ করে যাঁরা জেনারেল এবং তাঁর স্ত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে উদ্যোগী হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। ঘটনাস্থলে উদ্ধার হওয়া একটি মোবাইল তদন্তে সাহাজ্য করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
গতকালই ক্ষত চিকিত্‍সার পর জেনেরালকে ছেড়ে দেওয়া হল লেফটেন্যান্ট জেনেরাল কুলদীপ সিং ব্রারকে। সোমবার লন্ডনে ছুরি বিদ্ধ হইয়েছিলেন ১৯৮৪-র অপেরেশন ব্লু প্রিন্টের এই কাণ্ডারি। ভারতীয় সময় রবিবার রাত একটা নাগাদ লন্ডনের হাইড পার্কের কাছে কুইবেক স্ট্রিটে তাঁর ওপর হামলা চালায় চার দুষ্কৃতী। লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ফোন করে ব্রারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা। 
ভারতীয় হাই কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ব্রার ব্যক্তিগত সফরে সস্ত্রীক লন্ডনে গিয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী।
১৯৮৪-র জুনে ভারতীয় সেনাবাহিনিকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির থেকে খালিস্তানপন্থীদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই অপরেশন ব্লু-প্রিন্টের নীল নকসা তৈরি করেছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনেরাল কুলদীপ সিং ব্রার। আশির দশকের গোড়ার দিক থেকেই শিখদের পৃথক রাজ্য খালিস্তানের দাবিতে সরব হয়ে ওঠে পঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন জর্নল সিং ভিন্দ্রেওয়াল। খালিস্তানপন্থীরা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরকেই একটা সময় কার্যত নিজেদের প্রধান কার্য্যালয় তৈরি করে। ১৯৮৪-র জুনের ৩ থেকে ৭ তারিখ জেনেরাল ব্রারের নেতৃত্বে খালিস্তানপন্থীদের উচ্ছেদ করা হয়। দুপক্ষের তীব্র সংঘর্ষের খালিস্তানি নেতা ভিন্দ্রেওয়াল খুন হন। খালিস্তানের হাতে প্রাণ হারান সেনারাও। অপেরেশন ব্লু প্রিন্ট সফল হলেও এই ঘটনায় শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এই ঘটনার জেরে সেই বছরেই অক্টোবরে খুন হন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
অপেরেশনের পর জেনেরাল ব্রারও খালিস্তানপন্থীদের হিটি লিস্টে ছিলেন। এমনকী অবসরের পরেও তিনি জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন। `অপারেশন ব্লু স্টার: আ ট্রু স্টোরি` নামে একটি বই লেখেন।

.