চিনা স্পেস স্টেশনের ধ্বংসস্তূপ ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে
তিয়াংঅং ১ নামে চিনের এই মহাকাশ স্টেশনটি বিকল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে চিনা ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ২০১১ সালে উত্ক্ষেপণ করা হয়েছিল চিনের প্রথম মহাকাশ গবেষণাগারটিকে

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাড়ে নয় টন ওজনের চিনা স্পেস স্টেশন এখন কোন জায়গায় মুখ থুবড়ে পড়বে, সেই নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। কলকাতা না ক্যালিফোর্নিয়ায়? উত্তরে কত ডিগ্রি? দক্ষিণেই বা কত ডিগ্রি? ঠিক কোন জায়গায় কবে ওই বিশাল ধ্বংসস্তূপ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে, তা নির্ণয় করতেই চলছে পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা।
আরও পড়ুন- ওরাংওটাংয়ের এমন 'সুখটান' আপনাকেও হার মানাবে
তিয়াংঅং ১ নামে চিনের এই মহাকাশ স্টেশনটি বিকল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে চিনা ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ২০১১ সালে উত্ক্ষেপণ করা হয়েছিল চিনের প্রথম মহাকাশ গবেষণাগারটিকে। এটিকে স্থায়ী গবেষণাগার হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় চিন। কিন্তু পাঁচ বছর পর যান্ত্রিক গোলযোগের ফলে নিয়ন্ত্রণ হারায় মহকাশ স্টেশনটি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এ কথা জানিয়ে চিন সতর্ক করে বলে, এটি খুব শীঘ্রই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলছে।
আরও পড়ুন- ভুল করে আইফোন লক, ৪৭ বছর অপেক্ষা করতে বলল কর্তৃপক্ষ
কিন্তু কবে? এবং কোথায়?
প্রথমে, চিনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন ২০১৭ সালের শেষের দিকে এটি আছড়ে পড়বে। পরে ২০১৮-র এপ্রিলের মধ্যে ধেয়ে আসবে বলে জানায়। কিন্তু জানুয়ারি মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানায় তিয়াংওয়ং-১ মার্চ মাসের মাঝামাঝি আছড়ে পড়বে। অর্থাত্ বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, এই মাসেই অঘটন ঘটনার কথা।
আরও পড়ুন- বাহ্ মুরগি! এমন ডিম পেড়ে তাক্ লাগিয়ে দিল বিশ্বকে
কিন্তু কোন জায়গায়?
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি সূত্রে খবর, ২৯ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে স্পেস স্টেশনটি ধেয়ে আসবে। ৪৩ ডিগ্রি উত্তর এবং ৪৩ ডিগ্রি দক্ষিণের মধ্যে যে কোনও জায়গায় এটি আছড়ে পড়তে পারে। অর্থাত্ স্পেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, গ্রিস এ সব দেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয় বিজ্ঞানীরা। কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে, নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকাও এই তালিকায় থাকতে পারে।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর সবেচেয়ে প্রাচীনতম বার্তা এসে পৌঁছল অস্ট্রেলিয়ার পারথে