Mahsa Amini: ইরানে হিজাব-বিতর্কে মাশা আমিনির সমর্থকদের কি কারাগারে পুড়িয়ে মারা হল?
Mahsa Amini: ইরানের কুখ্যাত জেলে লেগেছিল ভয়ংকর এক আগুন। কিন্তু কী করে এই আগুন লাগল? না, সেটা কেউ জানে না। কোনও কোনও মহলের অভিযোগ ছিল, জেল কর্তৃপক্ষই এই আগুন লাগিয়েছিল!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৬১ জন! ইরানের এভিন সংশোধনাগারে আগুন লাগায় ঘটেছিল এই মর্মান্তিক ঘটনা! কিন্তু কী ভাবে সেখানে আগুন লাগল? কেউ জানে না! তবে অনুমান করা হচ্ছে, জেল কর্তৃপক্ষই এই আগুন লাগিয়েছে। কেন? কারণটা পরিষ্কার। হিজাব-প্রশ্নে গ্রেফতার মাশা আমিনির পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদ করেছিলেন যাঁরা তাঁরাই ওই কারাগারে ছিলেন। আর সরকার যেহেতু এই প্রতিবাদটার মুখ বারবার চেপে ধরতে চাইছে, তাই প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করার হাতিয়ার হিসেবে আগুন লাগানোর কৌশল করেছিল তারা।
অগ্নিদগ্ধ জেলখানার ছবি প্রকাশিত হতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। গল গল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল জেল থেকে। সেই ছবি এবং পরে বন্দি বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর খবরে হতবাক হয় সারা দেশ। অন্য গন্ধ পায় প্রতিবাদী বিক্ষোভকারী শিবির।
হিজাব না পরার 'অপরাধে' পুলিসের হাতে বন্দি মাশা আমিনির পরবর্তীকালে মৃত্যু ঘটায় দেশে আগুন জ্বলে যায়। সমস্ত মানুষ একত্রিত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। কেন এবং কী ভাবে মাশার মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে চায় দেশবাসী। তাঁদের ধারণা, পুলিসি অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে আমিনির। যদিও পরে সে দেশের সরকার জানিয়েছে, মোটেই কোনও অত্যাচারে মৃত্যু হয়নি আমিনির। তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু তাতে ক্ষোভের আগুন নেভেনি ইরানে। বরং এভিন জেলের আগুনেও তারা নাশকতার ছায়াই দেখছে। তারা পরিষ্কার করেই বলছে, এই আগুন ইচ্ছাকৃত।