জংলি ভাল্লুক তাড়াতে 'নকল নেকড়ে' মোতায়েন করল শহরবাসী, এক ওষুধে কাজ শুরু!
সরকার কিছু একটা করবে। এই আশাতেই বসে ছিলেন এলাকাবাসীরা। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও সরকারের দ্বারা ভাল্লুকের হানা রোধ করা সম্ভব হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন- গত পাঁচ বছরের মধ্যে এলাকায় এবার সব থেকে বেশি বার জংলি ভাল্লুক হানা দিয়েছে। প্রায় ১২ বার এলাকার মানুষের উপর আক্রমণ করেছে জংলি ভাল্লুকের দল। তার মধ্যে দুবার ভয়ানক হামলায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন দুজন শহরবাসী। জাপানের তাকিকাওয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাল্লুকের আক্রমণ নিয়ে প্রশাসনও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। দিনের আলোয় হোক বা রাতের অন্ধকারে, ভাল্লুকের দল এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোনো ছেড়ে দিয়েছিলেন এলাকাবাসীরা। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছিলেন অভিভাবকরা। ফলে তাকিকাওয়া শহরের সমস্ত কাজকর্ম যেন থমকে ছিল ভাল্লুকের ভয়ে।
সরকার কিছু একটা করবে। এই আশাতেই বসে ছিলেন এলাকাবাসীরা। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও সরকারের দ্বারা ভাল্লুকের হানা রোধ করা সম্ভব হয়নি। আর তাই স্থানীয় বাসিন্দারাই ভাল্লুক তাড়ানোর ব্যবস্থা করেন। নিয়ে আসা হয় নকল নেকড়ে। অর্থাৎ রোবট নেকড়ে। দুটি নেকড়েতেই বাজিমাত। শহরের দুই প্রান্তে লাগানো হয়েছে এই দুই নেকড়ে। ভয়ঙ্কর সেই নেকড়ের চেহারা। লাল লাল চোখ। রাস্তার ওপর সেট করা হয়েছে দুটি রোবট। চার পায়ের সেই নকল রোবট ম্যাজিকের মতো কাজ করছে। শহরবাসীরা জানিয়েছেন, যবে থেকে নেকড়ে আনা হয়েছে ভাল্লুকের দল আর শহরের ধারে কাছে ঘেঁষে না।
আরও পড়ুন- কোনওটায় মমি, কোনওটায় সোনার মূর্তি! ১০০টি রহস্যজনক কফিন উদ্ধার
ওটা সেইকি নামের একজন ২০১৮ সাল থেকে এই রোবট নেকড়ে বানানো শুরু করেন। গত দু'বছরে তিনি জাপানের বিভিন্ন এলাকায় ৭০টি রোবট নেকড়ে বিক্রি করেছেন। জাপানে এমনিতেই রোবটের চাহিদা তুঙ্গে। রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে ভারী মালপত্র তোলা, সবেতেই জাপানিরা রোবটের ব্যবহার করছে গত কয়েক বছর ধরে। তবে রোবট নেকড়ের মাধ্যমে ভাল্লুক তাড়ানোর খবর এর আগে শোনা যায়নি। এই রোবট থেকে এলইডি লাইটের আলো চারপাশে ঠিকরে বেরোয়। এমনকি ৬০ টি ভিন্ন আওয়াজে ডাকতে পারে সেই রোবট। সেইসঙ্গে এদিক-ওদিক ঘাড় ঘোরাতে পারে। ভাল্লুকদের ভয় দেখানোর জন্য এটুকুই যথেষ্ট।