চুমুর দিব্যি, শুধু কফি চাই
চুমুর দৌড় কতদূর? চুমুর আহ্লাদে ভালবাসা তরতর করে এগোয় জানা ছিল। কিন্তু ব্যবসা? চুমুর জেরে ব্যবসাও যে ফুলে ফেঁপে উঠতে পারে তার প্রমাণ মিলল সিডনির একটি ফরাসী ক্যাফেতে। চলতি বছরের জুন মাসে নতুন খোলা এই কফি শপ ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছিল অভিনব এক অফার। ক্যাফেতে এসে সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে প্রকাশ্যে চুমু খেতে পারলেই জুটে যাবে এক কাপ ফ্রি কফি।
চুমুর দৌড় কতদূর? চুমুর আহ্লাদে ভালবাসা তরতর করে এগোয় জানা ছিল। কিন্তু ব্যবসা? চুমুর জেরে ব্যবসাও যে ফুলে ফেঁপে উঠতে পারে তার প্রমাণ মিলল সিডনির একটি ফরাসী ক্যাফেতে। চলতি বছরের জুন মাসে নতুন খোলা এই কফি শপ ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছিল অভিনব এক অফার। ক্যাফেতে এসে সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে প্রকাশ্যে চুমু খেতে পারলেই জুটে যাবে এক কাপ ফ্রি কফি।
তবে এই অফার পাওয়ার সময়টুকু বাঁধা ছিল। সকাল ৯টা থেকে ১১টা। তবে তাতে কফি এবং চুম্বনপ্রেমীদের উৎসাহে একটুও দমেনি। সাত সকালেই নিয়ম করে গোটা জুন মাস ধরেই তাঁরা ভিড় বাড়িয়েছিলেন সেন্ট জেমস ক্যাফের দরজায়।
ফলাফল? শহর জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে যায় এই ক্যাফে। উত্তরোত্তর বাড়ে ক্যাফের জনপ্রিয়তা। বাড়ে ব্যবসাও।
শুধু জুন মাসে এই অফার থাকলেও অফার ফুরিয়ে গেলেও ক্যাফের জনপ্রিয়তায় কিন্তু বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। ক্যাফেতে চুম্বনরত যুগলের ছবি ক্যাফের ফেসবুক অফিসিয়াল পেজে পোস্ট করার পরে সেই জনপ্রিয়তাতো মোটামুটি আকাশচুম্বী। অফার দু`মাস আগে বন্ধ হয়ে গেলেও এখনও ইন্টারনেট জুড়ে লাখো মানুষের আলোচনার বিষয় এই ক্যাফে আর তার অভিনব অফার। ইউ টিউবে ক্যাফের ভিডিও জুন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত মোট ৮,১৬,৯২২ জন দেখেছেন।
ইন্টারনেটে গোটা জুন মাস ধরে ক্যাফের ফেসবুক অফিসিয়াল পেজে উৎসাহী ক্রেতাদের অদ্ভুত প্রশ্ন জমা হয়েছে লাখে লাখে। কেউ প্রশ্ন করেছেন `আমি যদি একা আসি, আমি কি ওয়েটারকে চুমু খেতে পারি?`, কেউবা প্রশ্ন করেছেন `আমি যদি পাঁচ জনকে চুমু খাই আমি কি পাঁচ কাপ কফি ফ্রিতে পাব?`, কারও বা প্রশ্ন ছিল `আমি যদি একা যাই তবে কি অচেনা কাউকে চুমু খেতে পারি?`। এই রকম নানাবিধ প্রশ্নের উত্তর দিতে ক্যাফে কতৃপক্ষ অবশ্য বেশি উৎসাহ দেখাইনি। আর দেখাবারও কোনও কারণ ছিল না। জুনেই শেষ হওয়া চুমুর অফারে এই মাঝ অগাস্ট পেরিয়ে এসেও ক্যাফের ক্যাশ বাক্স দিন দিন মোটা হচ্ছে।