নরওয়ের শহরে নিষিদ্ধ মৃত্যু
মৃত্যু নিষিদ্ধ! হ্যাঁ, এই শহরে মরণ বারণ। শহরের নাম 'লংইয়ারবেন', দেশ নরওয়ে। এই শহরেই যমদূতের চৌকাঠ পেরনো মানা। কিন্তু এমন একটা আপাত অসম্ভব এবং অদ্ভুত নির্দেশ কেন জারি করল লংইয়ারবেন প্রশাসন? মৃত্যুর মতো অমোঘ সত্যকে কী নিয়ম জারি করে ঠেকিয়ে রাখা যায়! কিন্তু লংইয়ারবেনের স্থানীয় প্রশাসন এসব দার্শনিক প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ। তাঁদের সাফ কথা, মৃত্যু ব্যান মানে ব্যান। কোনোভাবেই মরা যাবে না শহরে। কিন্তু কেন?
ওয়েব ডেস্ক: মৃত্যু নিষিদ্ধ! হ্যাঁ, এই শহরে মরণ বারণ। শহরের নাম 'লংইয়ারবেন', দেশ নরওয়ে। এই শহরেই যমদূতের চৌকাঠ পেরনো মানা। কিন্তু এমন একটা আপাত অসম্ভব এবং অদ্ভুত নির্দেশ কেন জারি করল লংইয়ারবেন প্রশাসন? মৃত্যুর মতো অমোঘ সত্যকে কী নিয়ম জারি করে ঠেকিয়ে রাখা যায়! কিন্তু লংইয়ারবেনের স্থানীয় প্রশাসন এসব দার্শনিক প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ। তাঁদের সাফ কথা, মৃত্যু ব্যান মানে ব্যান। কোনোভাবেই মরা যাবে না শহরে। কিন্তু কেন?
আসলে নরওয়ে হল ঠান্ডার দেশ। তার উপরে লংইয়ারবেনের উষ্ণতা মারাত্মক রকমের কম। ফলে মৃতদেহ সহজে পচে না ওই শহরে। আর এটাই 'আকর্ষণ' করছে মৃত্যুপথযাত্রীদের। পার্শ্ববর্তী এলাকার যেসব মানুষ ইতিমধ্যেই যমরাজের ক্ষীণ ডাক শুনতে পারছেন, তাঁরাই চলে আসছেন লংইয়ারবেনে। মৃত্যুর পরও অবিকৃত থাকার 'লোভে'। অবশ্য শুধু 'লোভ'ই নয়, অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণেও অনেকেই সমাধীস্থ করার প্রক্রিয়া সেরে উঠতে পারেন না। ফলে তাঁরাও ভিড় জমাচ্ছেন নরওয়ের এই শীতল শহরে।
এদিকে, এত 'মরা মানুষ' নিয়ে বিপাকে পড়েছে লংইয়ারবেন। ইতিমধ্যেই গোরস্থান তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। শহরের প্রশাসনের আতঙ্কিত হওয়ার আরও কারণ একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস যা প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল এমনই এক 'বহিরাগত মৃতদেহ' থেকে। তাই, আপাতত 'গো ব্যাক ডেথ' বলেই মত্যুপথ অবরোধের পদক্ষেপ। পুরো বিষয়টি একবার দেখে নিন ভিডিওয়-