রহস্যময়ী মোনালিসার হাসির খোঁজে...
এবার কি তাহলে মিলতে চলেছে পাঁচ শতকের হেঁয়ালির উত্তর? যার হাসিতে লুকিয়ে ছিল অপার রহস্য, সম্ভবত তাঁর সন্ধানই পেতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের আশা, শীঘ্রই জানা যাবে কে ছিলেন মোনালিসা।
এবার কি তাহলে মিলতে চলেছে পাঁচ শতকের হেঁয়ালির উত্তর? যার হাসিতে লুকিয়ে ছিল অপার রহস্য, সম্ভবত তাঁর সন্ধানই পেতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের আশা, শীঘ্রই জানা যাবে কে ছিলেন মোনালিসা।
ঠোঁটের কোণে ধরে রাখা এক রহস্যে মোড়া হাসি। তাতে কি রয়েছে উষ্ণতা? আহ্বান নাকি শুধুই স্নেহ? শিল্পসাম্রাজ্য আজও খুঁজে চলেছে তার উত্তর। কিন্তু, কে ছিলেন এই নারী? পাঁচ শতক আগে কে সাড়া দিয়েছিলেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ডাকে? হয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পসৃষ্টির আকর?
উত্তরটা খোঁজা শুরু হয়েছিল বহু যুগ আগে থেকেই। সূত্রও মিলেছিল। ফ্লোরেন্সের লিসা গেরার্ডিনি দেল জিওকোন্দোর পারিবারিক সমাধিই ছিল সেই সূত্র। গতবছরের জুলাই মাসে উরসুলার একটি কনভেন্টের মাটি খুঁড়ে পাওয়া কঙ্কালের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে জিওকোন্দোর ছেলের ডিএনএ।
মনে করা হচ্ছে, তাতেই হতে পারে দুয়ে দুয়ে চার। আর সেই আশা নিয়েই প্রায় তিনশো বছর পর বিজ্ঞানীদের জন্য খোলা হল জিওকোন্দো পরিবারের সমাধিস্থল। ১৫৪২ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ জুলাই মৃত্যু হয় লিসার। সেই দিনটিকে প্রামাণ্য ধরেই হবে C14 পরীক্ষা। মনে করা হয় জীবনের শেষদিকটা উরসুলের একটি কনভেন্টেই কাটিয়েছিলেন লিসা। সেক্ষেত্রে গেরার্ডিনির পরিবারের সমাধি থেকে উদ্ধার করা ডিএনএ আর ওই কনভেন্টের মাটি খুঁড়ে পাওয়া কঙ্কালের মধ্যে মিল খুঁজে পেলেই পাওয়া যাবে মোনালিসার ঠিকানা।