কোনও ধর্মই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, স্পষ্ট বার্তা চিনের
বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার মুসলিমরা আশঙ্কা করছেন যে নিনজিয়ার ওই মসজিদটির বেশকিছুটা অংশ ভেঙে ফেলা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও ধর্মই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সাফ জানিয়ে দিল চিনা সরকার। সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে এমনটাই লেখা হয়েছে।
কেন এই বার্তা? সম্প্রতি উত্তরপশ্চিম চিনের একটি মসজিদের একটি বড় অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উইঘুর প্রশাসন। নিনজিয়া প্রদেশের উইঘুরে বসাবস করেন উপজাতি হুই সম্প্রদায়ের মুসলিমরা। সেখানকার সর্ববৃহৎ মসজিদটি সম্প্রসারণ নিয়েই সমস্যা।
বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার উইঘুর মুসলিম ওই মসজিদটিকে ঘিরে বসেছিলেন রাতভর। শুক্রবারই সেটি ভাঙার কথা ছিল। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। এলাকার অনেকে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন। অনেকেই শ্লোগান দিচ্ছেন, ‘চিনে ধর্ম বাঁচান’।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, দেশে মসদিজের গম্বুজ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, গীর্জায় তালা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তীব্বতে ছেলেমেয়েরা বৌদ্ধ মঠ থেকে স্কুলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী ওই এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমকে। এমনকি ঢুকতে দেওয়া হলেও লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রশাসন মসজিদ ভাঙা নিয়ে কোনও কথাই বলছে না।
আরও পড়ুন-দুর্গা বিসর্জন, সরস্বতী পুজোয় ফের বাধা দিলে নবান্নের এক একটা ইট ধসিয়ে দেব, হুঙ্কার অমিতের
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার মুসলিমরা আশঙ্কা করছেন যে নিনজিয়ার ওই মসজিদটির বেশকিছুটা অংশ ভেঙে ফেলা হবে। এলাকার বাসিন্দা মাও জিগুয়ো সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, মসজিদের ৯টি গোম্বুজের মধ্যে ৮টি ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করেছে সরকার। কারণ সরকারের অভিযোগ ওই ৮টি গোম্বুজ অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদ চত্বরে প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারে।
এদিকে গ্লোবাল টইমস-এর সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, মসজিদ ভাঙলে তা ওই সম্প্রদায়ের ক্ষোভের কারণ হবে। কিন্তু এলাকার প্রশাসন যদি এনিয়ে উদ্যোগ না নেয় তাহলে একটা বার্তা যাবে যে চিনের আইনের থেকেও ক্ষমতাধর হল ধর্ম।
আরও পড়ুন-কী বললেন অমিত শাহ, জেনে নিন ২০টি পয়েন্টে
প্রসঙ্গত, এবছর মে মাসে দেশের ডিসিপ্লিনারি ইনস্পেকশন কমিশন তার রিপোর্টে জানায়, উইঘুর প্রশাসন নিনজিয়ার গ্র্যান্ড মসদিজের সম্প্রসারণ নিয়ে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ওই রিপোর্টের পরই মসজিদটির একংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়।
ছবি-প্রতীকী