কিমের কোরিয়া দাগল ১০ মিসাইল, শঙ্কিত দক্ষিণ কোরিয়ার পাল্টা যুদ্ধ-জবাব!
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে তাদের যুদ্ধবিমানগুলি প্রতিপক্ষের পূর্ব সীমান্তের কাছে বুধবার তিনটি লক্ষ্যে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সামরিক বাহিনী বলেছে যে ১৯৫৩ সালে কোরিয়ান যুদ্ধের শেষে ‘উপদ্বীপ ভাগ হওয়ার পরে প্রথমবার’ উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণের আঞ্চলিক জলসীমার এত কাছাকাছি অবতরণ করল। দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ডের মাত্র ৫৭ কিলোমিটার (৩৫ মাইল) পূর্বে সমুদ্রের জলে অবতরণ করেছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
![কিমের কোরিয়া দাগল ১০ মিসাইল, শঙ্কিত দক্ষিণ কোরিয়ার পাল্টা যুদ্ধ-জবাব! কিমের কোরিয়া দাগল ১০ মিসাইল, শঙ্কিত দক্ষিণ কোরিয়ার পাল্টা যুদ্ধ-জবাব!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/11/02/394892-north-korea-missile.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তর কোরিয়া বুধবার দশটিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে একটি মিসাইল দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার কাছাকাছি অবতরণ করেছে। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেন যে 'প্রকৃতপক্ষে এটি একটি আঞ্চলিক আক্রমণ'। উল্লেউংডো অঞ্চলের জন্য একটি বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। জাতীয় টেলিভিশনে এই সতর্কতা দেখানো হয় এবং এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ‘নিকটবর্তী ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে সরে যেতে’ বলা হয়। একটি স্বল্প পরিসরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর সীমারেখা অতিক্রম করেছে। এই সীমারেখা দুই দেশের মধ্যের প্রকৃত সামুদ্রিক সীমানা। উল্লেউংডো দ্বীপের বাসিন্দাদের বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সতর্কতা জারি একটি বিরল ঘটনা।
সামরিক বাহিনী বলেছে যে ১৯৫৩ সালে কোরিয়ান যুদ্ধের শেষে ‘উপদ্বীপ ভাগ হওয়ার পরে প্রথমবার’ উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণের আঞ্চলিক জলসীমার এত কাছাকাছি অবতরণ করল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে কাছে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি অবতরণ করেছে তা দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ডের মাত্র ৫৭ কিলোমিটার (৩৫ মাইল) পূর্বে সমুদ্রের জলে অবতরণ করেছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
পিয়ংইয়ং-এর সর্বশেষ উৎক্ষেপণের আগে সিওল এবং ওয়াশিংটন তাদের সর্ববৃহৎ যৌথ বিমান মহড়া মঞ্চস্থ করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’। এই অনুশীলনে উভয় পক্ষের শত শত যুদ্ধবিমান জড়িত।
উত্তর কোরিয়ার একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পাক জং চোন বলেছেন যে মহড়াগুলি আক্রমনাত্মক এবং উস্কানিমূলক ছিল। পাক বলেছেন যে মহড়ার নাম অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম। ১৯৯০-১৯৯১ সালে কুয়েতে আক্রমণ করার পরে ইরাকের উপর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক হামলার নামে এর নামকরণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া বুধবার বলেছে যে তারা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জবাবে আকাশ থেকে সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine war: বোতল হাতে দীর্ঘ লাইন! জলের জন্য হাহাকার কিয়েভে! যুদ্ধ কি জলসংকট ডেকে আনছে?
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে তাদের যুদ্ধবিমানগুলি প্রতিপক্ষের পূর্ব সীমান্তের কাছে বুধবার তিনটি লক্ষ্যে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
তাঁরা জানিয়েছে যে বুধবারের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই মিসাইলগুলি উৎক্ষেপণগুলি হয়েছিল।
২০১০ সালের মার্চ মাসে, একটি উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ চিওনানকে লক্ষ্য করে টর্পেডো ছোঁরে। এই ঘটনায় ৪৬ জন নাবিক নিহত হন তাদের মধ্যে ১৬ জন তাদের বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবায় ছিলেন।
একই বছরের নভেম্বরে, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সীমান্তবর্তী দ্বীপে গোলাবর্ষণ করে উত্তর কোরিয়া। এই ঘটনায় দুই মেরিনের মৃত্যু হয়।