বাড়ির অমতে বিয়ের অপরাধে আদালতের সামনে গর্ভবতী মেয়েকে থেঁতলে খুন পরিবারের লোকেদের
ওর অপরাধ ছিল পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ভালবেসে বিয়ে করা। আর এই অপরাধে ২৫ বছর বয়সী ওই গর্ভবতী মহিলাকে পাথর ছুঁড়ে পিটিয়ে হত্যা করা হল। আর লজ্জার কথা সেই মহিলাকে হত্যা করল তাঁর পরিবারের লোকেরাই। মঙ্গলবার বিকেলে লাহোরের উচ্চ আদালতের সামনের রাস্তায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
------------------------------------------------------
ওর 'অপরাধ' ছিল পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ভালবেসে বিয়ে করা। আর এই 'অপরাধে' ২৫ বছর বয়সী ওই গর্ভবতী মহিলাকে পাথর ছুঁড়ে পিটিয়ে হত্যা করা হল। আর লজ্জার কথা সেই মহিলাকে হত্যা করল তাঁর পরিবারের লোকেরাই। মঙ্গলবার বিকেলে লাহোরের উচ্চ আদালতের সামনের রাস্তায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ওই দিন বিকেলে ফারজানা পারভিন ও তার স্বামী মোহাম্মদ ইকবাল রাস্তায় দাঁড়িয়ে আদালত খোলার জন্য অপেক্ষা করছিল। এমন সময় ফারজানার পরিবারের প্রায় ২০ জন সদস্য তাকে ও তার স্বামীকে আক্রমণ করে। গর্ভবতী ফারজানাকে সবচেয়ে বেশিবার আঘাত করে তাঁর বাবা। বেশ কয়েকবার ফারজানার পেটে লাথিও মারে তার ভাইয়েরা।
আক্রমণকারীরা লাঠি ,পাথর, ইঁট দিয়ে ফারজানা ও ইকবালকে আঘাত করতে শুরু করে। অনেক লোক এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও হামলাকারীদের বাধা দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। গুরুতর আহত ফারজানাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিস। ফারজানার বাবা ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাই পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিস।
ফারজানার বাবা তার কন্যাকে হত্যার কথা স্বীকার করে দাবি করেছেন, পরিবারের `সম্মান` রক্ষার জন্যই ফারজানাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হামলায় ফারজানার দুই ভাই ও তার এক ভাইপোও জড়িত ছিল। ওই ভাইপোর সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল।
কিন্তু ফারজানা তার ভালবাসার মানুষ ইকবালকে বিয়ে করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন। ইকবাল ফারজানাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ দাখিল করেছিল ফারজানার পরিবার। সেই মামলার শুনানির জন্যই আদালতে গিয়েছিলেন নবদম্পতি।
পাকিস্তানের এক নিউজওয়েবসাইটে এই ঘটনাকে এক নজরে যেভাবে বলা হয়েছে।
Farzana Parveen was attacked by 20 family members outside Lahore court
The 25-year-old had married Mohammad Iqbal against her family`s wishes
When relatives tried to drag her away from her husband she resisted
Father and brothers then started pelting her with construction site bricks