Mauna Loa: প্রায় ৪০ বছর বাদে ঘুম ভেঙে জেগে উঠল দৈত্য! আগুন-তুবড়ি আগ্নেয়গিরির আকাশে...
Mauna Loa Eruption: ১৯৮৪ সালে শেষ বার মাউনা লোয়ার অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। এর পর দীর্ঘ ৩৮ বছর এটি শান্তই থেকেছে। তবে ১৮৪৩ সালের পর থেকে এত দীর্ঘ ব্যবধানে কখনও শান্ত থাকতে দেখা যায়নি এই আগ্নেয়গিরিকে। ভূতত্ত্ব বিভাগের দাবি, মাউনা লোয়া আগ্নেয়গিরি এই মুহূর্তে খুবই অস্থির অবস্থায় রয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘুম ভেঙে জেগে উঠল অগ্নিদৈত্য! প্রায় ৪০ বছর বাদে জেগে উঠল হাওয়াই দ্বীপের এক ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। ৩৮ বছর বাদে ঘুম ভাঙল বিশ্বের বৃহত্তম জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মাউনা লোয়ার। হাওয়াই দ্বীপের একেবারে উত্তর-পূর্ব দিকে এই আগ্নেয়গিরিটি রয়েছে। ২৭ নভেম্বর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাউনা লোয়া থেকে লাভা উদ্গীরণ শুরু হয়। মাউনা লোয়া আগ্নেয়গিরি রয়েছে হাওয়াই দ্বীপের প্রায় অর্ধেকটা জুড়ে। ১৮৪৩ সাল থেকে এই আগ্নেয়গিরি এখনও পর্যন্ত মোট ৩৩ বার জেগে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৪৩-এর আগে মাউনা লোয়ার অগ্ন্যুৎপাতের কোনও নথি সরকারের কাছে ছিল না।
আরও পড়ুন: সুদূরের নীহারিকা! এ বিশ্বের প্রথম গ্যালাক্সির প্রথম নক্ষত্রের সন্ধান কি দিতে পারল জেমস ওয়েব?
১৯৮৪ সালে শেষ বার মাউনা লোয়ার অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। এর পর দীর্ঘ ৩৮ বছর এটি শান্তই থেকেছে। তবে ১৮৪৩ সালের পর থেকে এত দীর্ঘ ব্যবধানে কখনও শান্ত থাকতে দেখা যায়নি এই আগ্নেয়গিরিকে। ভূতত্ত্ব বিভাগের দাবি, মাউনা লোয়া আগ্নেয়গিরি এই মুহূর্তে খুবই অস্থির অবস্থায় রয়েছে। গত কয়েক মাসে ওই এলাকায় ভূমিকম্পের হার বেড়ে যাওয়াকেই এই উদ্গীরণের কারণ হিসেবে দেখছেন ভূতত্ত্ববিদরা। চলতি বছরের জুনে ৫ থেকে ১০ বার এই অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছিল। জুলাই এবং আগস্ট মাসে ভূমিকম্পের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০। সেপ্টেম্বর মাসে ভূমিকম্পের সংখ্যা ১০০ পার করেছিল। অগ্ন্যুৎপাত শুরুর পর আগ্নেয়গিরির এক পাশ থেকে বইতে শুরু করেছে লাভা প্রবাহ। তবে এই লাভার প্রভাবে হাওয়াই জাতীয় উদ্যানের বসতির উপর পড়বে না বলে আমেরিকার ভূতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন।
আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে ওই উদ্যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বেরনো লাভা প্রধানত উত্তর-পূর্বের এলাকাগুলিকে সমস্যায় ফেলবে। কিন্তু উত্তর-পূর্বে আগ্নেয়গিরির কাছেপিঠে বসতি না থাকায় প্রাণহানি বা সে রকম কোনও চিন্তার কারণ নেই। যদিও আগ্নেয়গিরির গ্যাস এবং সূক্ষ্ম ছাই হাওয়ায় ভেসে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। ছড়িয়ে পড়ছেও।