নির্যাতিতার বিচার অধরা, উলটে সাক্ষীখুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বাবা, মামা
নির্যাতিতার বিচার অধরা। এবারে সাক্ষীখুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বাবা ও মামা। এমাসের শুরুতেই খুন হন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের মামলার অন্যতম সাক্ষী নিতাই সিংহরায়। এবারে তাঁর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই নির্যাতিতার বাবা ও মামাকে গ্রেফতার করল পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: নির্যাতিতার বিচার অধরা। এবারে সাক্ষীখুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বাবা ও মামা। এমাসের শুরুতেই খুন হন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের মামলার অন্যতম সাক্ষী নিতাই সিংহরায়। এবারে তাঁর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই নির্যাতিতার বাবা ও মামাকে গ্রেফতার করল পুলিস।
স্কুল ছাত্রী মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার সেই নির্যাতিতার বাবা ও মামাকেই সাক্ষী খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিস।
দুহাজার চোদ্দর দোসরা সেপ্টেম্বর রাতে ধূপগুড়ির কাছে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় স্কুল ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত বিবস্ত্র দেহ। জানা যায়, তার আগের রাতেই ধূপগুড়ির ন নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়ায় এক সালিশি সভায় বাবার অপমান সহ্য করতে না পেরেই প্রতিবাদ করেছিল মেয়েটি। এরপর সালিশি সভা থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোরী।
দেহ উদ্ধারের পর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলেন তার বাবা-মা। অভিযোগে উঠে আসে তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির নেতা সহ শাসকদল ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নাম।
ঘটনার মোড় বদলায় এবছর দোসরা নভেম্বর। ধূপগুড়ির মধ্যপাড়ার ধানখেত থেকে উদ্ধার হয় মামলার অন্যতম সাক্ষী নিতাই সিংহরায়ের গলাকাটা দেহ। মামলায় সাক্ষ্যদান থেকে সরে আসতে চাওয়াতেই নিতাই সিংহরায়কে খুন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁর স্ত্রী নমিতা রায়। নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ও মামা সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধূপগুড়ি থানায় এফআইআর করেন তিনি। শনিবার সেই অভিযুক্ত পাঁচজনকেই থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পরে নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা ও মামাকে গ্রেফতার করা হয়।