হস্তি বাবাজির আগমণে লঙ্কাকাণ্ড বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে!
স্কুলের ডিগ্রি নেই। কলেজে কখনও যায়নি। অ-আ, ক-খ-র জ্ঞান পর্যন্ত কোনওদিন হয়নি। তবু একধাক্কায় পা একেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়। কাঁহাতক মানা যায়! এনিয়েই লঙ্কাকাণ্ড বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: স্কুলের ডিগ্রি নেই। কলেজে কখনও যায়নি। অ-আ, ক-খ-র জ্ঞান পর্যন্ত কোনওদিন হয়নি। তবু একধাক্কায় পা একেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়। কাঁহাতক মানা যায়! এনিয়েই লঙ্কাকাণ্ড বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ যেন, জঙ্গল সে গিরা, ইউনিভার্সিটি মে অটকা। বলা নেই, কওয়া নেই, সটান হস্তি বাবাজি হাজির বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। তার আগে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরাঘুরিও করেছে। তবে বোধহয় পছন্দ হয়নি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের কাছে পৌছতেই তাই বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ানোর মন বদলে, সোজা ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে পড়ে বছর সাতের এই দামাল দস্যি। আশ্রয় নেয় একটি ঝোপের পাশে।
ততক্ষণে হুলস্থুল বেধে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলকাতা থেকে তড়িঘড়ি পাঠানো হয় বিশেষজ্ঞ দল। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সেডেটিভ প্রয়োগ করে ঘুম পাড়ানো হয় হাতিটিকে। বাগে আসে দাঁতাল। শেষমেষ বহু কসরতের পর লরিতে চাপানো হয় হাতিটিকে। সেও এক কর্মযজ্ঞ।
নেক্সট ডেস্টিনেশন বাঁকুড়ার রানিবাঁধের জঙ্গল। এ যাত্রা যা অভিজ্ঞতা হল, তারপর অবশ্য ইউনিভার্সিটিমুখো হওয়ার ইচ্ছে বোধহয় আর, হস্তি বাবাজির নিজেরও নেই!