ফসলের দাম না পেয়ে প্রতিদিন আত্মহত্যা আলুচাষির, সরকার বলছে পারিবারিক কারণ!
গত পনেরো দিনে রাজ্যে ১৪ জন আলুচাষি আত্মহত্যা করেছেন। ফসলের দাম না পেয়ে মৃত্যুর কথা অবশ্য স্বীকার করছে না সরকার। পারিবারিক অশান্তির কথা বলে দায় এড়াতে চাইছেন মন্ত্রীরা।
এক...দুই...তিন...। সংখ্যাটা রোজ বাড়ছে। কেউ গাছের ডাল থেকে ঝুলে পড়ছেন। কেউ বা আবার কীটনাশকের বোতলে জ্বালা জুড়োচ্ছেন। ওঁদের একটাই পরিচয়। ওঁরা আলুচাষি। আলুর দাম নেই। কেনার লোক নেই। হিমঘরে জায়গা নেই। মহাজনের দেনা কী করে শোধ হবে, বন্ধক রাখা বৌয়ের গয়না কী ভাবে ফিরিয়ে আনা যাবে - জানা নেই। চাষিবাড়িতে এখন হাহাকার। মৃত্যুর মিছিল।
সব দেখেশুনেও কী বলছে সরকার? ফসলের দাম না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যার অভিযোগ কোনও সরকারের পক্ষেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়। তাই কি এ ভাবে দায় এড়ানোর চেষ্টা? সরকারেরই কেউ তো আবার আলুচাষের সঙ্কটের জন্য চাষিদেরই দায়ী করছেন।
বিকল্প চাষে উত্সাহ দিতে কী করা হয়েছে? সহায়ক মূল্যে আলু কেনা শুরু হওয়ার পরও আত্মহত্যা কেন বন্ধ হচ্ছে না? উত্তরটা বোধহয় সরকারের কাছেও নেই। আর সে জন্যই কি পারিবারিক অশান্তির কথা বলে মৃত্যুর দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে শাসকদল?