হৃদরোগে মৃত্যু হল কামদুনির নির্যাতিতার কাকার, অন্যতম সাক্ষীর আকস্মিক মৃত্যুতে সংশয়ে কামদুনি মামলা
ধাক্কা খেল কামদুনি মামলা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কামদুনিকাণ্ডের মূল সাক্ষীর। গতকাল রাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি হবার পর আজ ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিতসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। হাসপাতাল চত্বরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার। অন্যদিকে অন্যতম সাক্ষীর মৃত্যু কামদুনি মামলায় কতটা প্রভাব ফেলবে? দোষীদের শাস্তি দিতে সমস্যা হবে কি? দীর্ঘায়িত হতে পারে কি বিচারপ্রক্রিয়া? শুরু হয়েছে জল্পনা। আটবিঘার যে জায়গায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছিল, নির্যাতিতাকে সেই পথে শেষ যেতে দেখেছিলেন তাঁর কাকাই আদালতে কামদুনি মামলা চলছে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে। এই পরিস্থিতিতে মূল সাক্ষীর মৃত্যু সত্য উদঘাটনে পথ কঠিন করে দেবে বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
ধাক্কা খেল কামদুনি মামলা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কামদুনিকাণ্ডের মূল সাক্ষীর। গতকাল রাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি হবার পর আজ ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিতসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। হাসপাতাল চত্বরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার। অন্যদিকে অন্যতম সাক্ষীর মৃত্যু কামদুনি মামলায় কতটা প্রভাব ফেলবে? দোষীদের শাস্তি দিতে সমস্যা হবে কি? দীর্ঘায়িত হতে পারে কি বিচারপ্রক্রিয়া? শুরু হয়েছে জল্পনা। আটবিঘার যে জায়গায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছিল, নির্যাতিতাকে সেই পথে শেষ যেতে দেখেছিলেন তাঁর কাকাই
আদালতে কামদুনি মামলা চলছে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে। এই পরিস্থিতিতে মূল সাক্ষীর মৃত্যু সত্য উদঘাটনে পথ কঠিন করে দেবে বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ বুকে ব্যাথা নিয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন কামদুনির নির্যাতিতা তরুণীর কাকা। রাতভর বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে অবশেষে শুক্রবার ভোরে এমার্জেন্সিতে মৃত্যু হয় কামদুনিকাণ্ডের মূল স্বাক্ষীর। অভিযোগ, ক্রমশ অবস্থা খারাপের দিকে গড়ালেও ভ্রুক্ষেপ করেননি কর্তৃব্যরত চিকিতসকরা।
বেলা বাড়লে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। বিক্ষোভ দেখানো হয় হাসপাতাল সুপারের ঘরেও। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি তদন্ত কমিটি গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার শৈবাল মুখার্জি।
গত ১০ অগাস্ট নগর দায়রা আদালতে কামদুনি মামলার শুনানির সময় আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যেরা। এইসময় লাঠিচার্জ করে পুলিস। পুলিসের লাঠিতে ওই ব্যক্তি বুকে আঘাত পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
তাঁদের না জানিয়েই দেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন মৃতের পরিবার। এরপরই এমার্জেন্সিতে চড়াও হন তাঁরা। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দিতে হয় এমার্জেন্সি বিভাগ। পুলিসের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন মৃতের পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আজই পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে এই দাবিতে বিকেলে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। নূন্যতম বাহাত্তর ঘণ্টা আগে এই রিপোর্ট দেওয়া যায় না। তবে পরিস্থিতি বিচার করে নজিরবিহীনভাবে শুক্রবারই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।